AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘৭১ হয়ে যাবে, আর নাটক করব না…’, কেন এমন সিদ্ধান্ত অঞ্জনের

Anjan Dutt: এই বছর বাংলা ছবি করছেন না অঞ্জন দত্ত। বরং নভেম্বরে আসছে তাঁর জীবনের শেষ নাটক। কেন মঞ্চে অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পরিচালক? জেনে নিন।

'৭১ হয়ে যাবে, আর নাটক করব না...', কেন এমন সিদ্ধান্ত অঞ্জনের
| Edited By: | Updated on: Sep 26, 2024 | 12:59 PM
Share

‘আরো একটা লিয়ার’ মঞ্চে আনছেন অঞ্জন দত্ত। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটা তাঁর শেষ নাটক। কেন এমন সিদ্ধান্ত? TV 9 বাংলাকে পরিচালক-অভিনেতা জানালেন, ‘নভেম্বরে যখন নাটকটা করব ৭১ বছর বয়স হয়ে যাবে। আমি নিজেকে শুধু পরিচালক হিসাবে দেখি না। নাটকে নিজে অভিনয় করি। ৭১ বছর বয়স হচ্ছে বলে যে আমি ছবি করা বন্ধ করছি তা নয়। মঞ্চে দাঁড়িয়েই গানের শো করছি। কিন্তু নাটক করতে গেলে শারীরিক দিক থেকে যে পরিশ্রম করতে হয়, সেটা আমি ৭১ বছর বয়সের পর পারব বলে মনে হচ্ছে না। তাই ভাবলাম, সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিই।’

সিনেমার শুটিং নিয়ে অবশ্য তাঁর কোনও ক্লান্তি নেই। অঞ্জন বলছিলেন, ‘ছবির শুটিং করতে আমার কোনও রকম সমস্যা হয় না। আমি শুধু বলি রাত ৯টা বা ১০টায় আমাকে ছেড়ে দিতে। সৃজিত (মুখোপাধ্যায়) যেমন রাত ৩টে অবধি শুটিং করেন। সেটা না হলে আর কোনও সমস্যা নেই। আসলে নাটকে কোনও রকম ফাঁকিবাজিতে আমি বিশ্বাস করি না। এমন নাটক বাছব, যেখানে দৌড়ঝাঁপ থাকবে না, সেটাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সব দিক বিচার করে মনে হল, এটাই শেষ নাটক হলে ভালো হয়।’

‘কিং লিয়ার’ বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে অঞ্জন বলছিলেন, ‘আমার যে বয়স, নাটকে তার কাছাকাছি কোনও চরিত্র করতে পছন্দ করি। কম বয়সে চুল সাদা করে বেশি বয়সের চরিত্র করেছি এমন নয়। সেদিক থেকে এবার নাটকের চরিত্রটা আমার জন্য উপযুক্ত। আর শেষ নাটক যখন, তখন উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ছোঁয়া থাকলে ভালো হবে, সেটাও মনে হল।’ এই বছর কোনও বাংলা ছবি করছেন না অঞ্জন। তাঁর ‘চালচিত্র এখন’ ছবিটা সমালোচক মহলে যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই দর্শকের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। সেই ছবি শেষ করার পর তাঁর শেষ নাটকের ছক সাজানোর কাজে মেতে উঠেছেন অঞ্জন। সমাজে হয় দুর্নীতি, না হয় ফ্যাসিজম, যার মাঝে পড়ে মানুষ ছটফট করে। সেই ভাবনা যে শেক্সপিয়ারের এই নাটকেও আছে, তা অনুভব করেছেন অঞ্জন। তাই নাটকটা যে পরিচালকের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের প্রতিচ্ছবি হবে, সেটা আশা করা যায়।