‘মুহূর্তে গোটা শরীর পুড়ে যায়’, দোলে এ কী অভিজ্ঞতা অপরাজিতা আঢ্যর?
Aparajita Adhya: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকের জীবনেই এই দিনটা এক খারাপ স্মৃতি বহন করে থাকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যও। তাঁর পরিবারে এই রঙের উৎসব যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেই ঘটনা ঘটেছে।

খেলবো হলি রং দেব না তাই কখনও হয়? একেবারেই নয়। রঙের উৎসবে গা ভাসাতে কে না ভালবাসেন। তবে সত্যি কি এই দিনের স্মৃতিগুলো রঙিন হয়ে থাকে? নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকের জীবনেই এই দিনটা এক খারাপ স্মৃতি বহন করে থাকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যও। তাঁর পরিবারে এই রঙের উৎসব যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেই ঘটনা ঘটেছে। TV9 বাংলাকে সেই কাহিনি শোনালেন নায়িকা।
বরাবরই প্রতিবাদে বিশ্বাসী অপরাজিতা। ঠিকটা ঠিক আর ভুলটাকে ভুল বলতে তিনি দুবার ভাবেন না। তাই হাসতে হাসতেই বললেন, “এদিন কত রকম খবর চোখে পড়ে। কত অপৃতিকর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এই দিনটায় বিশেষ করে সচেতন থাকতে হয় মহিলাদের। কারণ এদিন তো আবার রঙ মাখানোর অছিলায় গায়ে হাত দেওয়ার একটা গ্রিন সিগন্যাল কাজ করে। ফলে রঙ খেলা থেকে অনেকেই হয়তো নিজেকে বিরত রাখেন। সত্যি কি এই রঙের উৎসব মেয়েদের জন্যে রঙিন?” প্রশ্ন তুললেন অপরাজিতা।
যদিও তাঁর জীবনে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটেছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে। বিপদ যে কেবল মেয়েদের জীবনেই ঘটে এমনটা নয়। তাঁর দাদাকেও চরম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল এই দোলের উৎসবেই। একবার তাঁরা গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। সেখানেই রঙের সঙ্গে এক বিশেষ কেমিক্যাল মিশিয়ে তাঁর দাদাকে মাখিয়ে দেওয়া হয়। গোটা শরীর পুড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পরিবারের কেউ বুঝতে পারেনি কেন এমনটা হচ্ছে। পরে সমস্তটা জানা যায়। তাই কেবল মেয়েদের নয়, তিনি নারী পুরুষ সকলের উদ্দেশেই বললেন, সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তবেই এই উৎসবে সামিল হতে। তবে দোল সেলিব্রেশনের অনেক ধরন হয়। যেখানে আবির, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মিষ্টি খাওয়ার পর্ব চলে, সেগুলো সত্যি আনন্দের, ভাললাগার মুহূর্ত তৈরি করে।
