AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রণবীরের মৃত্যুভয়, পিতৃসত্তার পিছুটান!

Ranbir-Raha: কন্যা রাহার জন্য বেঁচে থাকার ইচ্ছা শতগুণ বেড়ে গিয়েছে বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের। তিনি নাকি আগে মৃত্যুকে একেবারেই ভয় পেতেন না। জানিয়েছেন সেই কথাই। কিন্তু রাহার জন্মের পর মনে মৃত্যু ভয় ঢুকেছে রণবীরের মনে।

রণবীরের মৃত্যুভয়, পিতৃসত্তার পিছুটান!
রাহাকে কোলে নিয়ে রণবীর...
| Updated on: Jul 31, 2024 | 12:56 PM
Share

সম্প্রতি রাহা ও রণবীরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। বাড়ির বাইরে ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করছিল মিষ্টি রাহা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ‘ড্যাডি কুল’ রণবীর কাপুর। এই প্রথম রাহার হাঁটার কোনও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সকলে মোহিত। ছোট্ট রাহাকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজ়েনরা। রাহা তারপর তাঁর বাবার কোলে উঠে ঘুরছিল। ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে সেই ভিজ়ুয়ালও। রণবীরের সঙ্গে কন্যার রসায়ন হেডলাইন তৈরি করছে। নেটিজ়েনরা বলছেন, “বাপ-বেটি জুটি যুগ-যুগ জিও।”

সন্তানের মায়া, বড় মায়া। এককথায় স্বীকার করবেন সকল বাবা-মা। সন্তানকে বড় হতে দেখা অন্যতম অভিজ্ঞতা। অনেকটা সেই কারণেই সন্তানের জন্মের পর শরীর-স্বাস্থ্যর প্রতিও বাড়তি যত্ন নিতে শুরু করেন বাবা-মায়েরা। ব্যতিক্রম নন রণবীর কাপুরও। খাদ্যাভাসেও বদল এনেছেন তিনি। কু-অভ্যাস ত্যাগ করেছেন। কন্যা রাহাকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন তিনি। তাকে চোখে হারান। বলাই বাহুল্য, মেয়ে তাঁর হৃদয়ের স্রেফ টুকরো নয়, গোটা হৃদয়টাই। রণবীরকে ইদানিং গ্রাস করেছে মৃত্যুভয়ও।

কোনও পিছুটান ছিল না রণবীরের। তাই মরণকে ডরাতেন না একবিন্দুও। কিন্তু ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর জীবনদর্শন পাল্টে যায় তাঁর। হাসপাতালে কন্যাকে কোলে নিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন রণবীর। রাহার যখন ২-৩ মাস বয়স, তাঁকে স্তন্যপান করাতেন বলে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’-র শুটিংয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আলিয়া। রাত জেগে স্তন্যপান করিয়ে ভোরে শুটিং সেরে কাহিল আলিয়া কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে সব কাজ ফেলে রাহাকে সামলাতেও চলে এসেছিলেন রণবীর।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলেছেন, “আমি আগে মৃত্যুকে ভয় পেতাম না। মনে হত ৭১ বছর বয়স পর্যন্তই হয়তো বাঁচব। কিন্তু এখন আমি রাহার বাবা। এখন সবকিছু পাল্টে গিয়েছে। রাহার জন্ম আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছে। ৪০ বছরের কাটিয়ে আসা জীবনটাকে এখন মনে হয় অন্য জন্ম ছিল। নতুন ইমোশন, নতুন চিন্তাভাবনা তৈরি হয়েছে আমার। আমি মৃত্যুকেও ভয় পেতে শুরু করেছি। খালি মনে হয়, কোনওভাবেই যেন মরে না যাই।”

রণবীর–যাঁকে একটা সময় ‘লেডিস ম্যান’ বলেছিলেন খোদ শ্বশুরমশাই পরিচালক মহেশ ভাট (তখন আলিয়া-রণবীরের সম্পর্কই তৈরি হয়নি), যাঁর সম্পর্কে বাবা অভিনেতা ঋষি কাপুর বলেছিলেন, “আমার ছেলে একসঙ্গে চারটে গার্লফ্রেন্ড রাখে।” আজ সেই রণবীর কেবলই ‘ফ্যামিলি ম্যান’, তাঁর দুনিয়া জুড়ে তিনজন নারী–মা নিতু কাপুর, স্ত্রী আলিয়া ভাট ও কন্যা রাহা। সন্তান সব পাল্টে দেয়। সত্যি!