Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাতে হাত, বিচ্ছেদের পর লাইভে আমির-কিরণ, গোটা সময় চুপই রইলেন কিরণ

১৫ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্যের ইতি টেনেছেন আমির খান এবং কিরণ রাও। শনিবার এক বিবৃতিতে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন।

হাতে হাত, বিচ্ছেদের পর লাইভে আমির-কিরণ, গোটা সময় চুপই রইলেন কিরণ
লাইভে আমির-কিরণ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2021 | 3:34 PM

কটাক্ষ করে অনেকেই বলছে, এ যেন বিচ্ছেদের উদযাপন। কেউ আবার বলছেন, “মনে হচ্ছে খুশিই হয়েছেন”। তবু বিচ্ছেদ ঘোষণার পরেই লাইভে এলেন ওঁরা, একসঙ্গে। হাতে রাখলেন হাত, খোলাখুলি কথা বলেন বিচ্ছেদ নিয়ে। কথা বললেন আমিরই। কিরণ ছিলেন চুপচাপই।

এক জুম ভিডিয়োতে আমির প্রথমেই দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনাদের নিশ্চয়ই ভাল লাগছে না, দুঃখ লাগছে, শক লাগছে। একটাই কথা বলার রয়েছে, আমরা এখনও একটাই পরিবার। এখনও একে অন্যের সঙ্গেই রয়েছি।” এর পরেই কিরণের হাত ধরে আমির বলেন, “আমাদের সম্পর্কের নাম শুধু পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।” কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে আমির-কিরণের অলাভজনক সংস্থা পানি ফাউন্ডেশনের কথাও। বিচ্ছেদ হলেও পানির যাবতীয় কাজ যে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে চলবে তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমির। বলেন, “পানি আমাদের কাছে আজাদের (আমির-কিরণের একমাত্র সন্তান) মতো..।” আমির হাতে হাত ছোঁয়াতেই একবার হেসে উঠেছিলেন কিরণ। ওইটুকুই। এর বাইরে তাঁকে আর কোনও কথা বলতে দেখা যায়নি।

১৫ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্যের ইতি টেনেছেন আমির খান এবং কিরণ রাও। শনিবার এক বিবৃতিতে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। কদর্য কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয়, দুজনের সম্মতি নিয়ে, বন্ধুত্ব রক্ষার আজীবন অঙ্গীকার নিয়ে যে ভাবে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন ওঁরা, তাতে কুর্নিশ করেছেন নেটিজেন। যদিও ট্রোলও হতে হয়েছে তাঁদের। যৌথ বিবৃতিতে ওঁরা লিখেছিলেন, “গত পনেরো সুন্দর বছর একসঙ্গে আমরা এক আজীবন অভিজ্ঞতা, আনন্দ এবং সুখ ভাগ করে নিয়েছি এবং আমাদের সম্পর্কটি কেবল বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায় বেড়েছে। এখন আমরা আমাদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই— স্বামী-স্ত্রী হিসাবে নয়, একজন বাবা-মা এবং পরিবার হিসাবে। আমরা কিছুক্ষণ আগে এক পরিকল্পিত বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে শুরু করেছি, এবং এখন এ হেন পরিস্থিতিতে আলাদাভাবে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি, তবুও একটি বিস্তৃত পরিবার যেভাবে জীবন যাপন করে ঠিক তেমন ভাবে আমাদের জীবন ভাগ করে নিয়েছি। আমরা আমাদের ছেলে আজাদের প্রতি অনুগত পিতা-মাতার মতো রয়েছি, যাকে আমরা লালন-পালন করব এবং একত্রেই করব। আমরা আমাদের ফিল্মে, পানি ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলো যে বিষয়ে আমরা প্যাশনেট, সে সব কাজ সহযোগী হিসাবে করে যাব।” ভিডিয়োতেও একই কথা বললেন তাঁরা। বুঝিয়ে দিলেন বিচ্ছেদ মানেই সব শেষ নয়…।

আরও পড়ুন ‘নারীসুলভ’ নন! তাপসীকে ‘কাকু’ বলে তোপ কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলীর