kangana on Farm Law: অখুশি কঙ্গনা, কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে কটাক্ষ অভিনেত্রীর
কঙ্গনা লেখেন, "যদি রাস্তার মানুষেরা আইন প্রনয়ণ করতে শুরু করে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা না করে তবে এটিও একটি জিহাদি দেশ। যারা এমনটা চেয়েছে তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা।"
প্রায় দীর্ঘ এক বছর আন্দোলন চলার পর অবশেষে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্য়াহার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গুরুনানক জয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়েই সকলকে চমকে দিয়ে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে একেবারেই খুশি নন বিতর্কিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বরং এই সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিলেন ক্ষোভ।
আক্ষাঙ্খা শান্ডিল্য নামক জনৈক নেটিজেনের কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমর্থনে একটি পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘স্ট্রিট পাওয়ারই হল আসল ক্ষমতা, আবারও তা প্রমাণিত হল।” সেই পোস্টই নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে কঙ্গনা লেখেন, “যদি রাস্তার মানুষেরা আইন প্রনয়ণ করতে শুরু করে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা না করে তবে এটিও একটি জিহাদি দেশ। যারা এমনটা চেয়েছে তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা।” এরই পাশাপাশি কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও অনৈতিক’ আখ্যাও দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এ দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমেই বলেন, “আজ গুরুনানকের জন্মবার্ষিকী। আমরা বরাবরই কৃষকদের সুবিধার কথা ভেবেই কাজ করেছি। কৃষকদের মঙ্গল কামনা করেই কৃষি আইন আনা হয়েছিল। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও কিছু সংখ্যক কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি। তাই আমরা এই তিন আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এরই পাশাপাশি কৃষকদের কোনও রকম দোষ না দিয়ে, ক্ষমা চেয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হয়তো আমাদের প্রচেষ্টাতেই কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমরা কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। আমি গোটা দেশকে জানাচ্ছি যে আমরা তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলতি মাসের শেষেই যে সংসদ অধিবেশন শুরু হচ্ছে, তাতে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার যাবতীয় কাজ শেষ হবে। আমি আন্দোলনরত কৃষক ভাইদের অনুরোধ করছি, এ বার আপনারা ঘরে ফিরে যান, আপনাদের চাষের জমিতে ফিরে যান। আসুন আমরা সবাই মিলে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করি।”
তবে কেবল আইন প্রত্যাহারই নয়, কৃষকদের জন্য জিরো বাজেট কৃষিকাজ প্রকল্পের ঘোষণাও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি, চাষের সময়কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বদল আনা সহ একাধিক বিষয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যেই একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কৃষক, কৃষিবিজ্ঞানী সহ বিভিন্ন গবেষকরা থাকবেন।”