১৯৭৮ সাল। প্রায় ৪৪ বছর। একই বছরে ৫টি সিনেমা। প্রত্যেকটি ব্লকবাস্টার হিট। তার মধ্যে কয়েকটি ৫০ সপ্তাহ চলেছে সিনেমা হলে। হয়েছে ছবি ব্ল্যাক। আজকের মতো একটি মাত্র সিনেমা হলে ছবি রেখে ২৫ সপ্তাহ চলল বলে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে হিট বলা নয়, প্রতিটি ছবি সত্যি রমরমিয়ে চলেছে একাধিক সিনেমা হলে। পিছনে ফিরে দেখে স্মৃতিচারণ করে তাই বলিউডের বিগবি অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করে লিখলেন,‘ও ভি কেয়া দিন থে’।
১৯৮৭ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়। ‘ডন’, ‘কসমে ওয়াদে’, ‘ত্রিশূল’, ‘মুকাদ্দর কি সিকন্দর’ আর ‘গঙ্গা কি সৌগন্ধ’। তার মধ্যে ‘ডন’ ছবির অগ্রিম বুকিংয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন অমিতাভ বচ্চন আজ নিজের ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে তাঁর ক্যাপশন, “আমার ছবির অগ্রিম বুকিং ডন..! এবং তাঁরা বলেছিলেন .. তাঁরা .. যে সারিগুলি এক মাইল লম্বা ছিল.. .. ১৯৭৮ সালে মুক্তি পায়.. ৪৪ বছর! এবং এগুলি একই বছরে মুক্তি পেয়েছে। ডন, কসম ওয়াদে, ত্রিশুল, মুকাদ্দার কা সিকান্দার, গঙ্গা কি সৌগন্ধ.. এক বছরে ৫টি ব্লকবাস্টার!! তার মধ্যে কোনও কোনও ছবি ৫০ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দৌড়েছে.. কেয়া দিন থে ওভি!!” ক্যাপশনের মাঝে মাঝে রয়েছে ইমোজিও।
বলিউডে এখন শুরু হয়েছে ১০০ কোটি, ২০০ কোটি ক্লাবে ঢোকা নিয়ে হিট ফ্লপের মাপকাঠি। কিন্তু সেই সময় কোন ছবি কতদিন চলল, ব্ল্যাকাররা কত রোজগার করলেন, তার উপর হত মাপকাঠি সিনেমা হিট-ফ্লপের। সেই দিনকেই স্মৃতিচারণ করেছেন বিগ বি। ছিল না এত রকমের প্রচার ব্যবস্থা। সিনেমার পোস্টার দেখে দর্শক হলে যেতেন। ‘ডন’ ছবির অগ্রিম বুকিংয়ের লাইন মাইল ছাড়িয়ে ছিল। এখনকার মতো অনলাইন বুকিং ছিল না। রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে সিনেমা প্রেমীরা লাইন দিতেন সিনেমার সামনে। হাউজফুল বোর্ড সিনেমা হলের সামনে পড়তেই ‘১০ কা ৫’ বলে শুরু হত ব্ল্যাকারদের হাঁক-ডাক। দর কাষাকষি করে পছন্দের তারকা ছবির প্রথম দিনের টিকিট হাতে পাওয়া মানে লটারি যেতা! কিন্তু আজকে সেই সব কিছুই নেই। না আছে অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য লাইন, না রয়েছেন ব্ল্যাকার। নেই সিঙ্গেল স্ক্রিন। যেখানে ‘গুরু’র ছবির প্রথম দিনে সিনেমা হলের সামনে কত রকম পাগলামো করা যায়, তার তোড়জোড়। সিনেমা হলে ঢুকে পয়সা ছোঁড়াও নেই। যাঁরা সেই সময়কে পেয়েছেন, বিগ বি এই ছবি তাঁদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেই সময়ে। যা আজকের জেনারেশনের কাছে অধরাই রয়ে যাবে। সত্যি ‘কেয়া দিন থে ওভি’!