‘প্রতিদিন কাঁদতাম, হতাশ লাগত’, কোন ভয়ঙ্কর অতীতের কথা বললেন বিদ্যা?

Vidya Balan: বিদ্যা জানিয়েছেন, বহুবার ব্যর্থ হয়েও তিনি আশা ছাড়েননি। আর এই সাফল্যের জন্য তাঁর বাবা, মায়ের অবদানের কথাও বার বার স্বীকার করেন অভিনেত্রী।

‘প্রতিদিন কাঁদতাম, হতাশ লাগত’, কোন ভয়ঙ্কর অতীতের কথা বললেন বিদ্যা?
বিদ্যা বালন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2021 | 7:28 PM

প্রত্যাখ্যান। এই শব্দটা বিদ্যা বালনের কেরিয়ারের শুরুর থেকে জুড়ে রয়েছে। এত বেশি প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছিল নায়িকাকে, যে তিনি কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছিলেন। রাতের পর রাত কাঁদতেন, ঘুম হতো না। আজ যে বিদ্যাকে দর্শক দেখেন, সেই জায়গা তৈরি করা মোটেই সহজ ছিল না। সদ্য এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের শুরুর সেই কঠিন দিনগুলোর কথা শেয়ার করেছেন বিদ্যা।

১৯৯৫-এ ‘হম পাঁচ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে টেলিভিশনে ডেবিউ করেন বিদ্যা। ২০০৩-এ ‘ভাল থেকো’ তাঁর বড় পর্দায় ডেবিউ ছবি। ২০০৫-এ প্রথম হিন্দি ছবি করেন তিনি, ‘পরিণীতা’। এই সুযোগ একদিনে আসেনি। বহু ব্যর্থতার পরে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছেন নায়িকা।

বিদ্যার কথায়, “আমার দ্বারা কিছু হবে না। এটাই ভাবতাম। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে বহুবার আমাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ২০০২-২০০৩ নাগাদ প্রতিদিন কাঁদতে কাঁদতে ঘুমোতে যেতাম। আমার মনে হত, আর কখনও অভিনেতা হতে পারব না। হতাশ লাগত। পরের দিন ভোরে আবার আশা করতাম। ভাবতাম, নতুন একটা দিন মানে নতুন সুযোগ।”

বিদ্যা জানিয়েছেন, বহুবার ব্যর্থ হয়েও তিনি আশা ছাড়েননি। আর এই সাফল্যের জন্য তাঁর বাবা, মায়ের অবদানের কথাও বার বার স্বীকার করেন অভিনেত্রী। অভিনয় করে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। পরে প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরকে বিয়ে করলে বিদ্যার আরও একটি পরিচয় তৈরি হয়। চেহারা নিয়েও বহু কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু ভাল অভিনয় করতে গেলে তথাকথিত স্লিম হতে হবে, সেই বাঁধা গতের ধারণাকে ভেঙে দিয়েছেন বিদ্যাই। সে কারণেই তাঁর জার্নি অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন, কাজে ফিরলেন মিমি, কিন্তু এ জার্নি তাঁর কাছে ‘রোলার কোস্টার’ কেন?