Father’s Day: সুরকার আদেশ শ্রীবাস্তব-এর উপর বায়োপিক, পিতৃ দিবসে ঘোষণা তাঁর চরিত্রে অভিনয় করছেন ছেলে অভিতেশ
Fathers Day: বহু হিট গান বলিউডকে দিয়েছিলেন আদর্শ। কিন্তু ক্যান্সারের কাছে একসময় হার মেনে চলে যান তিনি। তৃতীয়বার পুনরায় ক্যান্সার ফিরে আসার পর আর লড়াই করতে পারেননি আদর্শ।
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫। জন্মদিনের ঠিক পরের দিন কোমার মধ্যেই চলে যান সুরকার আদেশ শ্রীবাস্তব (Aadesh Shrivastava)। বয়স মাত্র ৫১। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বহু হিট গান বলিউডকে দিয়েছিলেন আদেশ। কিন্তু ক্যান্সারের কাছে একসময় হার মেনে চলে যান তিনি। তৃতীয়বার পুনরায় ক্যান্সার ফিরে আসার পর আর লড়াই করতে পারেননি আদর্শ। আজ পিতৃ দিবসের দিন প্রযোজক মানসি বাগলা এবং দীপক মুকুট ঘোষণা করেছেন আদেশ শ্রীবাস্তবের জীবন নিয়ে তৈরি হতে চলেছে তাঁর বায়োপিক। আদর্শের যুবা অবস্থাকে ছবিতে তুলে ধরা হবে। আর সেই চরিত্রে অভিনয় করবেন সঙ্গীতশিল্পীর বড় ছেলে অভিতেশ শ্রীবাস্তব (Avitesh Srivastava) । পিতৃ দিবসে অভিতেশের জন্য এর থেকে ভাল খবর আর কিছুই হতে পারে না। তিনিও এই খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করতে পেরে ভীষণ খুশি।
অভিতেশ নিজের খুশি ভাগ করতে গিয়ে লিখেছেন, “আমার কেরিয়ারে এই নতুন যাত্রা শুরু করতে পেরে আমি মানসীর কাছে ঋণী। তিনি আমার গডমাদারের মতো। আমি তাঁর মধ্যে আমার বাবাকে দেখতে পাই। যখন আমরা প্রথম দেখা করি, তখনই আমাদের মধ্যে একটি বন্ধন তৈরি হয়ে যায়। একটা সমীকরণ সেখান থেকে শুরু হয়েছিল”। অভিতেশ আরও যোগ করেছেন যে, সঙ্গীত তাঁকে তাঁর বাবার সঙ্গে যুক্ত করে রাখে।
বাবার বায়োপিকে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন অভিতেশ। মানসীর উপর পূর্ণ আস্থা আর ভরসা রেখেই তিনি কেমন ভাবে বাবা আদর্শের জীবনকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চাইছেন, তা জানতে অধীর আগ্রহে রয়েছে সঙ্গীতশিল্পীর ছেলে। অন্যদিকে অভিতেশ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, মানসী বলেছেন, “আমি নিশ্চিত, অভিতেশই পরবর্তী তারকা হবেন। তিনি নিজেকে এতটাই পূর্ণ করেছেন যেন একটি আগ্নেয়গিরি। অপেক্ষা শুধু ফেটে বেরিয়ে আসার। তাঁর প্রতিভাকে সম্পূর্ণ করার জন্য তাঁকে ঠিক মতো দেখাশোনা এবং বিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল, আমি আনন্দিত আমি এই তারকাটিকে খুঁজে পেয়েছি এবং সারা বিশ্ব শীঘ্রই তা দেখতে পাবে।
“‘শাবা শাবা’, ‘সোনা সোনা’, ‘গুসতাখিয়া’ গানের গায়ক আদেশের ছেলেও গান করেন। অভিতেশের লেখায় সুরে লিপ দিয়েছেন টাইগার শ্রফ। অসময়ে চলে যান আদর্শ। এবার তাঁর উত্তরসূরী রূপে অভিতেশের উপর দায়িত্ব সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। আর সেটা বোধ হয় পিতৃ দিবসের দিন থেকেই শুরু হয়ে গেল।