গত পরশুই তো ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম…, জয়ের মৃত্যুতে কী বললেন প্রথম ছবির নায়িকা দেবশ্রী?
সেই থেকেই জয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব দেবশ্রীর। সহঅভিনেতা যে আত্মীয় হয়ে উঠতে পারে, তা দেবশ্রী ও জয়ের বন্ধুত্ব দেখলেই বোঝা যায়। সেই প্রাণের আত্মীয়কে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকাহত টলিউডের রুমকি।

প্রথম ছবিতেই একদিকে দেবশ্রী রায়, তো অন্যদিকে মুম্বইয়ের নায়িকা মধু সরকার। পরিচালক বিদেশ সরকারে অপরূপায়, ক্য়ামেরার সামনে আসতেই নজর কেড়ে নিয়েছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকেই জয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব দেবশ্রীর। সহঅভিনেতা যে আত্মীয় হয়ে উঠতে পারে, তা দেবশ্রী ও জয়ের বন্ধুত্ব দেখলেই বোঝা যায়। সেই প্রাণের আত্মীয়কে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকাহত টলিউডের রুমকি। জয়ের প্রয়াণের খবর পেতেই তাই দেবশ্রী ভেসে গেলেন নস্ট্যালজিয়ায়।
টিভি৯ বাংলাকে দেবশ্রী জানালেন, জয়ের বাড়িতে আমার যাওয়া আসা ছিল। ওর মা আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। জয়ের বোনের সঙ্গেও নিয়মিত কথা হত। গত পরশু মাসিমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ওর বোনের কাছ থেকেই প্রথম জয়ের শরীর খারাপের কথা জানতে পারি। আসলে, গত কয়েকবছর ধরে এত মৃত্যুর মিছিল দেখছি। একে একে কাছের মানুষ হারাচ্ছি। সত্যি আর ভাল লাগে না। সেই সিকিমের ছবির শুটিংয়ে গিয়ে, আমরা সবাই শুটিংয়ের ফাঁকে ঘুরতে গিয়েছিলাম, সেসবই মনে পড়ে যাচ্ছিল। খুব খারাপ খবর। মানতেই পারছি না।
১৯৬৩ সালের ২৩ মে জন্ম হয় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম থেকেই বিনোদন জগতের প্রতি অগাধ টান ছিল তাঁর। অভিনেতা হিসেবে তাঁর কেরিয়ার শুরু ‘অপরূপা’ ছবি থেকে। তাঁর বিপরীতে নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। প্রথম ছবি থেকেই ইন্ডাস্ট্রির নজরে পড়েছিলেন সুপুরুষ জয়। তবে পরিচালক নবেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘চপার’ ছবিতে অভিনয় করে ভূয়সী প্রশংসা পান জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নয়ের দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর হীরক জয়ন্তী ছবি বক্স অফিসে তাঁকে সাফল্য এনে দেয়। প্রশংসিত হয় জয় ও চুমকি চৌধুরীর জুটিও। এমনকী, টলিপাড়ায় রটে যায় চুমকি ও জয়ের প্রেমগুঞ্জনও।
