সিবিআই-এর তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছিল সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক। এরপর সোমবার তিলোত্তমা-কাণ্ডে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত। তারপর থেকেই শোরগোল সর্বত্র। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন বাকিরা কোথায়, কেউ আবার বিচার পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। প্রথম থেকে পথে নেমে সওয়াল করেছিলেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষও। প্রশ্ন তুলেছেন নারী নিরাপত্তা নিয়েও।
এবার সাজা শুনে TV9-এ আবারও প্রশ্ন তুললেন তিনি, বললেন, “সাধারণ মানুষ জন্যে যদি CFL রিপোর্ট প্রকাশিত করা হয়, তাহলে এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ক’টা মানুষ, একজন না একাধিক, সেটা প্রমাণ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, বিচারক যেটা বললেন, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়, আমি জানি না কীসের ভিত্তিতে বলেছেন, সে জন্য বিস্তারে রিপোর্ট না দেখে বলা মুশকিল। আমার মনে হয় CBI সাপ্লিমেন্টারি চার্জসিট দেবে। সেখানে আরও বিস্তারে যদি তদন্ত হয়, তবে আরও গভীর সত্যি বেরিয়ে আসবে। সঞ্জয় রাই সম্পর্কে ধারণাই ছিল যে তিনি যুক্ত। তবে তিনিই একমাত্র দোষী কি না, সে বিষয়টা আমার কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। সেই জন্যে যে রায় হয়েছে আজ, তাতে তদন্ত যে আরেকটু বিস্তারে হবে তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, শনিবার তিলোত্তমার ঘটনায় সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর সোমবার তার সাজা শোনায়। অপরাধীর আইনজীবীরা তার মৃত্যদণ্ড ঠেকাতে উঠেপড়েও লেগেছিলেন। অন্যদিকে, সিবিআই প্রথম থেকেই সওয়াল করছিল যাতে সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়। অপরদিকে, নাগরিক সমাজের একাংশ চাইছিল দোষী সঞ্জয়ের যাতে ফাঁসি হয়। এমনকী, শনিবার বিভিন্ন জায়গায় প্রতীকী ফাঁসি মঞ্চ বানানো হয়। তবে দেখা গেল আজ বিচারক অনির্বাণ দাস দোষী সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেন।