চক্রবর্তী নয় সেনগুপ্ত, স্বামী পদবি কোথায় ব্যবহার করেন ঋতুপর্ণা?
সময় পাল্টেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টাচ্ছে সাধারণের চিন্তাধারা। শহুরে মহিলারা এখন নিজের পদবি ব্যবহারেই বিশ্বাসী। অনেকেই আবার নিজের পদবির পরে স্বামীর পদবি ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এখনও অধিকাংশ নারীই বিয়ের পর স্বামীর পরিচয়ে পরিচিতি পান।

ছোটবেলার বন্ধু সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ১৯৯৯ সালে মুন্সিগঞ্জে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। সঞ্জয় এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। থাকেন সিঙ্গাপুরে। এদিকে ঋতুপর্ণার কর্মক্ষেত্র মূলত কলকাতাই। তাই সিঙ্গাপুর-কলকাতা যাতায়াত করতে হয় অভিনেত্রীকে। সমানতালে সামলান সংসার-কর্মজীবন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর স্বামীর পদবি ‘চক্রবর্তী’। সেই পদবি কোথায় ব্যবহার করেন অভিনেত্রী?
এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেছিলেন, “আমি চিরকাল সেনগুপ্ত ছিলাম এবং সেনগুপ্তই থাকব। এটা আমার জন্মের সময়কার পদবি। কিছু-কিছু সরকারি নথিতে যদিও আমার চক্রবর্তী পদবিটা ব্যবহার করা আছে। তবে সিনেমায় আমাকে পরিচিতি দিয়েছে এই সেনগুপ্ত পদবি। তাই একে আমি কোনওদিনই নিজের থেকে আলাদা করতে পারব না।” ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর পিতার পদবি রাখার সিদ্ধান্ত একপ্রকার অনুপ্রেরণারও বটে।
এখনও পর্যন্ত বহু নারী এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন না যে তাঁরা কোন পদবি ব্যবহার করবেন। তাঁদের কাছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো নারীরা এক জ্বলন্ত উদাহরণ। তবে সময় পাল্টেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টাচ্ছে সাধারণের চিন্তাধারা। শহুরে মহিলারা এখন নিজের পদবি ব্যবহারেই বিশ্বাসী। অনেকেই আবার নিজের পদবির পরে স্বামীর পদবি ব্যবহার করে থাকেন। যদিও এখনও অধিকাংশ নারীই বিয়ের পর স্বামীর পরিচয়ে পরিচিতি পান। এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা আজও বর্তমান।
তবে বিশেষ করে পাবলিক ফিগার যাঁরা, তাঁরা নিজের পদবিই ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা সেই নামে পরিচত। বিশেষ করে বিয়ের আগে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পদবি বদল করেন না।
