ডিম্পলকে জাপটে ধরে ঠোঁটঠাসা চুমু খেলেন বিনোদ খান্না, দৌড়ে এলেন মহেশ ভাটও!
মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে বিনোদের অন্তরঙ্গ দৃশ্য এবং মাধুরীর ঠোঁট কেটে যাওয়ার ঘটনা তো খুবই জনপ্রিয়। তবে শুধু মাধুরীই নয়, বিনোদের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়াও।

একসময় বলিউডের প্লেবয় বলতে লোকে বিনোদ খান্নাকেই চিনতেন। বিবাহিত হলেও, একাধিক নায়িকাদের সঙ্গে প্রেম, বিনোদ খান্নার কাছে ছিল জলভাত। তবে এই নিয়ে বিনোদের কোনও রাখঢাক ছিল না। বুক চিতিয়ে নানা সাক্ষাৎকারে বিনোদ বলতেন, আমি রোমান্টিক মানুষ। কিন্তু বিনোদের এমন রঙিন মেজাজের কারণে বিপাকে পড়েছিলেন বলিউডের বহু নায়িকা। দয়াবান ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে বিনোদের অন্তরঙ্গ দৃশ্য এবং মাধুরীর ঠোঁট কেটে যাওয়ার ঘটনা তো খুবই জনপ্রিয়। তবে শুধু মাধুরীই নয়, বিনোদের সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়াও।
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ১৯৯২। ছবির নাম প্রেম ধর্ম। মহেশ ভাটের এই ছবির শুটিংয়েই ডিম্পল পড়েছিলেন বেকায়দায়! ক্য়ামেরার পিছনে মহেশ ভাট। ক্যামেরা থেকে একটু দূরে বিনোদ ও ডিম্পল। শুট হচ্ছিল এক অন্তরঙ্গ দৃশ্য। মহেশ ভাট অ্যাকশন বলতেই ডিম্পলকে জাপটে ধরলেন বিনোদ। ডিম্পলের নরম ঠোঁটে, ঠোঁট রাখলেন বিনোদ। ব্যস, তারপরই নায়কের খেলা শুরু।
জানা যায়, ডিম্পলের ঠোঁটে এত জোরে ঠোঁট রেখেছিলেন বিনোদ যে, ডিম্পল নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না! সঙ্গে শরীরের পুরো জোর কাজে লাগিয়ে ডিম্পলকে জাপটেও ধরেছিলেন তিনি। বেশ কয়েক মিনিট এসবই চলতে থাকে। দূর থেকে মহেশ কাট বললেও, বিনোদ থামেননি। ডিম্পল যে বিপাকে পড়েছেন তা বুঝতে পেরেই মহেশ ভাট ছুটে আসেন বিনোদ ও ডিম্পলের কাছে। তারপর জোর করে বিনোদের হাত থেকে ডিম্পলকে ছাড়়ান মহেশ!
বিনোদ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন, অনেকদিন পর অন্তরঙ্গ দৃশ্যে শুটিং করায় আবেগ সামলাতে পারিনি। তাছাড়াও, মহেশের কাট বলাও শুনতে পাইনি। তবে অন্যদিকে, মহেশ জানিয়ে ছিলেন, এতটাও গভীর চুম্বন চিত্রনাট্যে ছিল না! এই ঘটনার পরে নাকি বিনোদের সঙ্গে একেবারে কথা বন্ধ করে দেন ডিম্পল। বিনোদ অবশ্য পরে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।





