ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নায়ক, পেট চালাতে শেষে কাজ নেন পেট্রলপাম্পে!জানেন তিনি কে?

তামিল ছবির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন আব্বাস। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নায়ক ছিলেন তিনি। নানা রকমের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তাঁর কেরিয়ার। বিজয়, অজিত কুমার, অরবিন্দ স্বামী ও আর মাধবনের মতো সেই তালিকায় ছিলেন অভিনেতাও।

ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নায়ক, পেট চালাতে শেষে কাজ নেন পেট্রলপাম্পে!জানেন তিনি কে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2025 | 9:45 PM

তামিল ছবির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন আব্বাস। ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নায়ক ছিলেন তিনি। নানা রকমের উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তাঁর কেরিয়ার। বিজয়, অজিত কুমার, অরবিন্দ স্বামী ও আর মাধবনের মতো সেই তালিকায় ছিলেন অভিনেতা আব্বাসও।

কেরিয়ারের প্রথম দিকেই একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন অভিনেতা। তেলুগু ভাষায় প্রিয়া ও প্রিয়া, রাজা এবং তামিল ভাষায় কান্নেঝুথি পোট্টুম থোট্টু, পাদায়াপ্পা, সুয়াম্বরম ছবির মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন আব্বাস। তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং পর্দায় উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। তিনি ঐশ্বর্য রাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। যা ছিল তাঁর কেরিয়ারের একটি বড় মাইলফলক। এই ছবিটি তামিল ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সফল ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। যা আব্বাসের মুকুটে যোগ করে নতুন পালক।

কিন্তু, ২০০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় স্ট্রাগল। বলিউডে পা রাখলেও দর্শক মনে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি নায়ক। সে সময় তিনি বেশ কিছু দিন অভিনয় থেকে দূরে থাকেন। পরবর্তী সময়ে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এই সময়টা ছিল তার জন্য এক চ্যালেঞ্জিং সময়। মুখ্য চরিত্র নয় তখন সহ অভিনেতা হিসাবে কাজ করতে বাধ্য হন তিনি। ফলে,ভাঁটা পড়ে তাঁর স্টারডমে। এমনকি তামিল ও তেলুগু চলচ্চিত্রে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন।

২০০৬ সালের পর তাঁর কেরিয়ারে বড় ধরনের পতন ঘটে। একের পর এক সিনেমা ব্যর্থ হওয়ায়, আব্বাস বেশ কিছু সময়ের জন্য চলচ্চিত্র থেকে সরিয়ে যান। সেই সময় তিনি টেলিভিশনে কাজ করতে শুরু করেন, তবে চলচ্চিত্রের পুরনো জৌলুস আর ফিরে পাননি। এরপর ২০১১ সালে, তিনি এক বড় সিদ্ধান্ত নেন। চলে যান নিউজিল্যান্ড। জীবন নতুন করে শুরু করার চেষ্টা করেন।

নিউজিল্যান্ডে এসে তিনি একের পর এক ছোটখাটো কাজ শুরু করেন। মেকানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন এবং একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করা শুরু করেন। যদিও তাঁর সব টাকা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল, তবুও তিনি মনোবল হারাননি। একসময়, তিনি মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি নিউজিল্যান্ডে এসে নিজের জীবনের নতুন উদ্দেশ্য খুঁজে পান। তাঁর জীবন সংগ্রামের গল্প অনেকের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।