‘মহাভারত’ করে কেন নাম পাল্টে ফেলেন মুসলিম অভিনেতা ফিরোজ?
এই চরিত্রের জন্য প্রযোজক বি.আর. চোপড়া ২০,০০০-এরও বেশিজনের অডিশন নিয়েছিলেন। অভিনেতা পঙ্কজ ধীর প্রথমে অর্জুনের ভূমিকায় নির্বাচিত হলেও গোঁফ কাটতে না চাওয়ায় তাঁকে কর্ণের ভূমিকায় নেওয়া হয়।

১৯৮৮ সালে প্রচারিত বি.আর. চোপড়ার ‘মহাভারত’ ছোট পর্দায় এক ইতিহাসে হয়ে রয়ে গিয়েছে। এই ধারাবাহিক শুধু দর্শকদের মন জয় করেনি, বরং শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুন, দ্রৌপদী–সহ একাধিক চরিত্র সাধারণের কাছে রাতারাতি জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। সেই চরিত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অর্জুন, অর্থাৎ অভিনেতা ফেরোজ খান।
এই চরিত্রের জন্য প্রযোজক বি.আর. চোপড়া ২০,০০০-এরও বেশিজনের অডিশন নিয়েছিলেন। অভিনেতা পঙ্কজ ধীর প্রথমে অর্জুনের ভূমিকায় নির্বাচিত হলেও গোঁফ কাটতে না চাওয়ায় তাঁকে কর্ণের ভূমিকায় নেওয়া হয়। এমনকি বলিউড তারকা জ্যাকি শ্রফের নামও আলোচনায় ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাগ্যের জোরে সুযোগ পান ফেরোজ খান।
তিনি প্রথম অডিশনের পর কোনও উত্তর না পেয়ে নিজেই চোপড়ার অফিসে গিয়ে সাহস করে যোগাযোগ করেন এবং সেখান থেকেই তাঁর অর্জুন চরিত্রের সফর শুরু। মহাভারতের প্রচার শুরু হলে ফেরোজ খানের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। তাঁর জনপ্রিয়তা এমন পর্যায় পৌঁছায় যে, মানুষ তাঁকে দেখলেই হাত জোড় করে প্রণাম করতেন। মহাভারত শেষে নিজের নাম পাল্টে ‘অর্জুন’ রাখেন অভিনেতা, কারণ একই নামে বলিউডে আরেকজন জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরোজ খান আগে থেকেই ছিলেন। তাই এই সিদ্ধান্ত।
এই নাম বদলের পেছনে পরামর্শদাতা ছিলেন স্বয়ং বিআর চোপড়া ও চিত্রনাট্যকার রাহি মাসূম রজা। তারপর কোথায় হারিয়ে গেলেন অর্জুন? মহাভারতের পর অর্জুন বেশ কিছু সিনেমা ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। ‘বেতাল পচিশি’ নামক জনপ্রিয় সিরিজে তাঁকে দেখা যায়। তবে অর্জুন চরিত্রের প্রভাব তাঁর উপর এতটাই গভীর ছিল যে তিনি অন্য চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে তিনি রাজনীতিতেও পা রাখেন, কিন্তু সেখানে খুব বেশি সাফল্য পাননি। ধীরে ধীরে তিনি অভিনয় জগত থেকে দূরে সরে আসেন।





