‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র দিন দরগায় জুন, মালা দিয়ে কী লিখলেন বিধায়ক?
June Malia: একদিকে আজ যখন অযোধ্যায় নরেন্দ্র রামমন্দিরের উদ্বোধন করছিলেন ঠিক তখনই এ রাজ্যে লকাতার রাস্তায় ‘সংহতি মিছিল’ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

২২ জানুয়ারি সকাল থেকেই গোটা দেশ ছিল আনন্দে মাতোয়ারা। অযোধ্যায় রামলালার ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। সেলেব থেকে সাধারণ– বাদ ছিলেন না কেউই। এরকমই এক সময় মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া শেয়ার করলেন এক ছবি। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে দরগায় হাজির হয়েছেন বিধায়ক। সেখানে গিয়ে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতেও দেখা যায় তাঁকে। অন্যদিকে কালীমন্দিরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর এক ছবিও শেয়ার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দুই ধর্মের দুই পৃথক ধর্মস্থানে গিয়ে সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী-বিধায়ক, একই সঙ্গে ধার করেছেন বিখ্যাত গানের সেই দুই লাইন, ‘ঈশ্বর আল্লা তেরো নাম/ সবকো সম্মতি দে ভগবান”। লিখেছেন, “সবচেয়ে বড় ধর্মনিরপেক্ষ দেশের নাগরিক হতে পেরে আমি গর্বিত। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। নিজের কমেন্ট বক্সটি বন্ধ করে রেখেছেন তিনি। সমালোচিত হতে পারেন,ভেবেই কি এই সিদ্ধান্ত।
একদিকে আজ যখন অযোধ্যায় নরেন্দ্র রামমন্দিরের উদ্বোধন করছিলেন ঠিক তখনই এ রাজ্যে লকাতার রাস্তায় ‘সংহতি মিছিল’ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামমন্দির প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে এক প্রশ্নও ছুড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “তা ছাড়া কি রাম হয়? যদি তা-ই হবে, তবে কৌশল্যা কোথায় গেলেন? মা কৌশল্যাদেবী ছাড়া তো রামের জন্মই হত না!’’ ৫০০ বছর পর শিশুরামের ‘ঘর’-এ ফেরা মা ছাড়া– এই প্রশ্নই করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরই মধ্যে জুনের ওই ছবি শেয়ার কি ইঙ্গিতবাহী? নিজের দলের বার্তাকেই প্রশমিত করা? এমনটা প্রশ্ন জেগেছে সাধারণের মনে।

