ওঁরা বলেন, ছাত্রছাত্রীদের কাছে মাধ্যমিক হল প্রথম সোপান। ভিত তৈরির অন্যতম অধ্যায়। মাস খানেক আগেই বের হয়েছে মাধ্যমিকের রেজাল্ট। কেউ ভাল ফল করেছে আবার কারও বা হয়নি আশানুরূপ। ভাল রেজাল্ট মানেই কি তাঁকে হতেই বা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অধ্যাপক? এই ধারণাকেই নস্যাৎ করেছেন যিনি তিনি কিরণ দত্ত ওরফে বং গাই। তাঁর মাধ্যমিকের রেজাল্ট কেমন হয়েছিল জানেন? অবাক হবেনই। পড়াশোনায় দারুণ ছিলেন বং গাই, বলছে তাঁর মার্কশিট। অধিকাংশ বিষয়ে ‘AA’ পেয়েছিলেন। দেখা যাক কোন বিষয়ে কত পেয়েছিলেন কিরণ? বাংলায় ২০০র মধ্যে পেয়েছিলেন ১৪৫। ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ৯০। ওদিকে দুই নম্বরের জন্য অঙ্কের ১০০ তে ১০০ হাতছাড়া হয়েছিল তাঁর। ভৌতবিজ্ঞানে পেয়েছিলেন ৯৭, জীবনবিজ্ঞানে পেয়েছিলেন ৯৪। ভূগোল ও ইতিহাসে যথাক্রমে পেয়েছিলেন ৬৬ ও ৮৪।
মাধ্যমিকের রেজাল্ট বলছে, তাঁর পারফরম্যান্স ছিল ‘আউটস্ট্যান্ডিং’। অতীতে নিজেই নিজের মার্কশিট শেয়ার করে কিরণ লিখেছিলেন, “যেকোনও ফিল্ডেই কাজ করো বেসিক এডুকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কিছু করতে চাইলে পড়তে হয় না এটা ভুল। তবে রেজ়াল্টের জন্য নিজেকে কম ভাবা ,ভেঙে পরা উচিত না। নিজে পরিশ্রম করতে জানলে আর নিজের উপর বিশ্বাস থাকলে কেউ আটকাতে পারবেন না…”
উচ্চমাধ্যমিক মাধ্যমিকের মতো ফল না করলেও খুব খারাপ রেজাল্ট হয়নি তাঁর। তাঁর কথায়, “উচ্চমাধ্যমিকে গার্লফ্রেন্ড হওয়ার পর আর হালকা শর্টফিল্ম বানিয়ে, গান গেয়ে ,পাখনা গজিয়ে এই হল কিরণ দত্তর রেজ়াল্ট। ইলেভেনে উঠে সায়েন্স নিয়ে আমার সে কি… বাপরে! স্টার পেয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু অঙ্কে যারা খুব ভাল বলছিলে এটাও দেখে নিও আর যাই নেবে ভেবে চিন্তে নিও ব্যাস এটুকুই বলার।” আর পাঁচ জনের মতো উচ্চমাধ্যমিকের পর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন তিনি। তবে মন টেকেনি। কনটেন্ট ক্রিয়েশনে নেশায় বুঁদ হয়ে তার সঙ্গেই ঘর করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিং খান বলেছিলেন, “কোনও জিনিসকে যদি মন থেকে চাওয়া যায়, পুরো দুনিয়া তা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লেগে পড়ে।” তাঁর ক্ষেত্রেও হয়েছিল তেমনটাই। আজ তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত।