বলিউডের প্রথম কাজের শুটিং শেষ, কেক কেটে শুভেচ্ছা অরিত্রকে

Aritra Dutta Banik: অরিত্র জানান, এই ওয়েব সিরিজ আদতে ইয়ুথ স্টারদের গল্প। ফ্যামিলি ড্রামা নয়। ইয়ং স্টারদের গল্প। একমাত্র বাঙালি অভিনেতা তিনিই। চলতি বছরের শেষে অথবা পরের বছরের শুরুতে মুক্তি পাবে এই সিরিজ।

বলিউডের প্রথম কাজের শুটিং শেষ, কেক কেটে শুভেচ্ছা অরিত্রকে
অরিত্র দত্ত বণিক। ছবি: ফেসবুক থেকে গৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2021 | 5:04 PM

বলিউডে প্রথম এন্ট্রি। সে খবর আগেই TV9 বাংলাকে জানিয়েছিলেন অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক। যে কোনও প্রথম কিছুই স্পেশ্যাল। বলিউড ডেবিউও অরিত্রর কাছে কার্যত স্পেশ্যাল। একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করলেন তিনি। মুম্বই, রাজস্থানের বিভিন্ন অংশে ঘুরে ঘুরে এতদিন শুটিং করার পর অবশেষে তা শেষের পথে। শুটিং শেষে কেক কেটে সেটে যে ভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হল, তাতে আপ্লুত অরিত্র।

ফেসবুকে কেক কাটার আগের মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন অরিত্র। তিনি লিখেছেন, ‘অভিনেতা হিসেবে বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এটাই আমার প্রথম স্ক্রিন অ্যাপিয়ারেন্স। একমাত্র আমিই সেটে অভিনেতা এবং টেকনিশিয়ান, দুটো পরিচয় পত্র নিয়ে ঘুরছিলাম। আমার শুটিংয়ের শেষ দিন টেকনিশিয়ানরা ১৫ মিনিটের অফিশিয়াল ব্রেক ঘোষণা করেছিলেন। আমার শুটিং শেষ হওয়াটা কেক কেটে সেলিব্রেট করার জন্য এই ব্রেক। অনেক হাততালি, আশীর্বাদ…। এই দিনটা সারাজীবন আমার সঙ্গে থেকে যাবে। এই ওটিটি প্রজেক্টে আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রযোজক, পরিচালক, ট্যালেন্ট ম্যানেজার সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ জানা গিয়েছে ২০২২-এ মুক্তি পাবে এই প্রজেক্ট।

তবে কোন ওয়েব সিরিজ, তা নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলেননি অরিত্র। তিনি আগেই TV9 বাংলাকে বলেন, “এটা বলিউডের হিন্দি ওয়েব সিরিজ। বলিউডে অভিনেতা হিসেবে এটা আমার ডেবিউ। করোনার আগেই হওয়ার কথা ছিল। করোনা হওয়ার পর অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছিল। এখন শুটিং চলছে। যেভাবে আমাকে নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে দেখে এসছেন মানুষ, পাকা বাচ্চা বা কমেডি, সেটা থেকে বেরতে চাইছিলাম আমি। সেটার সুযোগ পেয়েছি।”

অরিত্র জানান, এই ওয়েব সিরিজ আদতে ইয়ুথ স্টারদের গল্প। ফ্যামিলি ড্রামা নয়। ইয়ং স্টারদের গল্প। একমাত্র বাঙালি অভিনেতা তিনিই। চলতি বছরের শেষে অথবা পরের বছরের শুরুতে মুক্তি পাবে এই সিরিজ।

কীভাবে এল এই সুযোগ? সে প্রসঙ্গে অরিত্র বলেন, “অডিশন মুম্বইতে হয়েছিল। এর আগে ‘কাহানি ২’-এর জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। সেখানে সুযোগ পাইনি। সেই ক্লিপ মুম্বইয়ে পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে এই প্রজেক্টের জন্য ডেকেছিল আমাকে।”

বলিউডে কাজ করতে গিয়ে একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে অরিত্রর। শুটিং শুরুর আগে দীর্ঘদিন ধরে রিহার্সাল হয়েছে মুম্বইতে। অভিনেতাদের সঙ্গে প্রোডাকশনের সম্পর্কও নাকি একেবারে অন্যরকম। অনেক বেশি প্রফেশনাল কি? সে প্রসঙ্গে অরিত্রর উত্তর ছিল, “প্রফেশনাল বলে দাগিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না। অনেক বেশি স্ট্রাকচার্ডড।”

এই বদলের নির্দিষ্ট কোনও কারণ আছে কি? অরিত্র বলেন, “বাজেট নিশ্চিত বড় বিষয়। সেটা অস্বীকার করার কারণ নেই। ওখানে অভিনেতা হিসেবে পৌঁছনোর পর মেকআপ বা হেয়ার কোনও কিছুরই দায়িত্ব আমাকে নিতে হচ্ছে না। এখানে যেটা হয়, ঘড়ি আনিনি, কন্টিনিউইটি মিস হয়ে গেল। এগুলো তো অনেক ফেস করেছি। ওখানে নিজে হাজির হওয়াটার পর ওদের দায়িত্ব।” তাঁর সংযোজন ছিল, “আর একটা বিষয়, এখানে গোঁজামিল দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কিছুটা টাকার কারণেই। এটা কলকাতায় আমাদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। ‘ও হয়ে যাবে।’ ‘চালিয়ে নেব আরকি।’ ওখানে দেখলাম যে জুতো, যে জামা, যে চশমা পরার কথা সেটা যদি ছোট হয়, একেবারে সেটা বড় করে এনেই শুটিং হবে। সেফটিপিন মেরে চালিয়ে দিলাম, ওসব হবে না।”

আরও পড়ুন, শুটিংয়ের মাঝে রাহুল দেব বসুর ফুচকা প্রেম, সঙ্গী কে?