AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pallavi Dey Death: পল্লবীর ‘বর’ই তাঁকে প্রথম ডেকে নিয়ে যান, অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে ঢুকে কী দেখেছিলেন কেয়ারটেকার?

Pallavi Dey Death: কী বলছেন পল্লবীর কেয়ারটেকার? কী দেখেছিলেন তিনি?

Pallavi Dey Death:  পল্লবীর 'বর'ই তাঁকে প্রথম ডেকে নিয়ে যান, অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে ঢুকে কী দেখেছিলেন কেয়ারটেকার?
অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু
| Edited By: | Updated on: May 23, 2022 | 12:23 PM
Share

কলকাতা: প্রচণ্ড চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে দৌড়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ফ্ল্যাটের দরজা তখন খোলা। দেহটা ঝুলছিল। গলায় পেঁচানো ছিল বিছানার চাদর। গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুরের যে ফ্ল্যাট থেকে পল্লবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ফ্ল্যাটেরই কেয়ারটেকার জানাচ্ছেন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি বলেন, “আমি চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাচ্ছিলাম। ওই দিদির বরই (উল্লেখ্য, তিনি সাগ্নিককে পল্লবীর স্বামী হিসাবেই চিনতেন) আমাকে প্রথম ডাকেন। আমি গিয়ে দেখি চাদরটা গলায় জড়ানো রয়েছে। স্বামী ধরে রয়েছেন। বলল, দাদা একটু খুলে দাও। আমি তারপর নীচে চলে আসি।” কেয়ারটেকার যতক্ষণে নীচে আসেন, ততক্ষণে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সাগ্নিক ও পল্লবীকে একসঙ্গেই যাতায়াত করতে দেখতেন তাঁরা। কখনও তাঁদের সম্পর্কে অস্বাভাবিকতা দেখেননি সেভাবে। প্রশ্ন উঠছে, সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবীর কী এমন হয়েছিল?

ছুটির সকালে গড়ফা গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। তাঁর মৃত্য়ু ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবার এক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ তুলছে। ইতিমধ্যেই প্রেমিক সাগ্নিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পল্লবীর মোবাইলেও নজর রয়েছে পুলিশের। হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমে কাউকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পল্লবীর বাবা সরাসরি বলছেন, “আমার মনে হচ্ছে সাগ্নিকই সব কিছু জানে। ওই আমাদের ফোন করে সব কিছু জানিয়েছিল প্রথম। আমরা তো তখনও কিছুই জানতাম না।” এখনও পর্যন্ত  সাগ্নিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জানা যাচ্ছে গাঙ্গুলিপুকুরের ফ্ল্য়াটে দীর্ঘদিন ধরে একাই থাকতেন পল্লবী। তবে পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত ছিল ফ্ল্য়াটে। পল্লবীর বাবার দাবি, রবিবার সকালে বিষয়টি সাগ্নিকই তাঁদের জানিয়েছিলেন।

পল্লবীর বাড়ি হাওড়ার রামরাজাতলায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে গড়ফার ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেছিলেন সাগ্নিক-পল্লবী। তাঁদের দুজনের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল পল্লবীর পরিবারও। পল্লবীর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, ভোর রাতেও অ্যাক্টিভ ছিলেন পল্লবী। দু’ দিন আগেও বিয়ের সাজে ফটোশুট করেছিলেন পল্লবী। সম্পর্কের জটিলতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে পল্লবীর সহকর্মীদের একাংশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সোমবার দেহের ময়নাতদন্ত হবে।