বোরখার নীচে রচনা!পরিচয় গোপন করে মেট্রো চেপে কোথায় যান?
Rachana Banerjee: প্রতিদিন মেট্রো পথেই যাতায়াত করেন। এমনই অফিস যাওয়া বা ফেরার পথে মেট্রো স্টেশনে আপনার প্রিয় তারকাকে দেখতে পান তাহলে কেমন হবে? ভিড় মেট্রো স্টেশন, সেখানে আবার টলিপাড়ার তারকা। ছবিটা মেলাতেই অসুবিধা হচ্ছে তাই তো! মেনে নেওয়া কঠিন হলেও এটাই বাস্তব। এমনটা ঘটতেই পারে যদি আপনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী হন তো।
প্রতিদিন মেট্রো পথেই যাতায়াত করেন। এমনই অফিস যাওয়া বা ফেরার পথে মেট্রো স্টেশনে আপনার প্রিয় তারকাকে দেখতে পান তাহলে কেমন হবে? ভিড় মেট্রো স্টেশন, সেখানে আবার টলিপাড়ার তারকা। ছবিটা মেলাতেই অসুবিধা হচ্ছে তাই তো! মেনে নেওয়া কঠিন হলেও এটাই বাস্তব। এমনটা ঘটতেই পারে যদি আপনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী হন তো।
তিনি তো এখন শুধু অভিনেত্রী বা সঞ্চালক নন । তিনি এখন তৃণমূল সাংসদও বটে। পেশাদার জীবনে যতই সফল হয়ে যাক কেন ব্যক্তিগত জীবনকে ঠিক রাখতেই তাঁর জীবনে একমাত্র মেট্রোই ভরসা। ঠিক বুঝতে পারছেন না তো! আসলে মা হিসাবে অভিনেত্রী খুবই কড়া ধাতের। যতই তাঁর কাজের চাপ থাকুক না কেন, তিনি ছেলের প্রতি কোনও রকমের অবহেলা করতে রাজি নন। তাই তো শুটিংয়ের ফাঁকেও ছেলেকে পড়ানোর জন্য দারুণ উপায় বার করেছিলেন। নায়িকার এই সিক্রেট ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে ফাঁস করেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
একবার অতিথি হিসাবে এসেছিলেন সুদীপা। তখনই বলেন, “আমার আর রচনাদির (বন্দ্যোপাধ্যায়) মেকআপের ঘর পাশাপাশি ছিল। দিদির সেই ঘরে একটি বোরখা টাঙানো থাকত। এক দিন আগ্রহের বশে এক জনকে জিজ্ঞেস করি এখানে এই বোরখাটা ঝুলছে কেন? তখন জানতে পারি রৌনককে পড়ানোর জন্য, ওকে সময় দেওয়ার জন্য বিশেষ পন্থা বার করেছেন দিদি।” রচনা সেই বোরখা পরে মেট্রো করে কালীঘাট আসতেন। মেট্রো স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত তাঁর বাড়ির গাড়ি। সেই গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছতেন অভিনেত্রী। রৌনককে যাতে সঠিক সময় পড়াতে বসতে পারেন তাই এই রাস্তা বার করেন রচনা। এই ঘটনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে সুদীপা জানান, তিনি নিজেও এখন এক জন মা। রচনার মতো তিনি ছেলে আদিদেবকে সঠিক ভাবে মানুষ করতে চান।