অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্য়ায় এখন তিনি অবশ্য তৃণমূল সাংসদও বটে। তবে পুজোর সময় কোনও কাজের কথা নয়। বাইপাস সংলগ্ন বিলাসবহুল আবাসনে তিনি থাকেন। সেখানে ধুমধাম করে পুজো হয়। পুজোর চার দিন নিজের আবাসনেই কাটান তাঁরা। শহরে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন ছাড়া তাই নিজের আবাসনেই কাটান তিনি। চারিদিকে ঢাকের আওয়াজ, মা দুর্গার আগমনে একদিকে যেমন আনন্দ আছে। তেমনই আবার কিছুটা মন খারাপও আছে। আরজি কর ঘটনার পর কিছুটা হলেও শহরে পুজোর রঙ ফিকে। এখন ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে অনশনে বসে চিকিত্সকেরা। তাঁরা তাঁদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবাদ সঙ্গে নিয়েই দেখতে দেখতে উৎসবের মরসুম শেষ। শনিবার থেকেই পড়ে গিয়েছে দশমী। ইতিমধ্যেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েগিয়েছে। তারই মাঝে রবিবার সকলে আরবানাতে সিঁদুর খেলতে দেখা গেল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। লাল শাড়ি পড়ে, গালে সিঁদুর মেখে দেখা গেল সাংসদকে। সকলকে জানালেন শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা। বললেন, আসছে বছর আবার। পুজোর মাঝেই অনশনকারীদের উদ্দেশে দিয়েছিলেন বার্তা।
মহাষ্টমীর অঞ্জলি দিয়ে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা অনশনকারীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “পুজোর চারটে দিন কে কীভাবে কাটাবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। যাঁরা অনশন করছেন তাঁদেরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাব। তাঁদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। কারণ,পুজোর চারটে দিনের জন্যই তো সারা বছর সবাই অপেক্ষা করে থাকেন। ওনারা পুজোয় কোনও আনন্দ করতে পারছেন না। এত দিন ধরে অনশন করছেন খুবই খারাপ লাগছে। চাইব তাড়াতাড়ি যেন তাঁদের সমস্যার সমাধান হয়। পরিবারের কথা তাঁদের ভাবতে হবে। চাইব তাঁরা যেন পুজোর আমেজে ফেরেন। মা-বাবার কথা, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের পুজোর আমেজে ফেরা উচিত। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আনন্দ করতে পারছেন না তাঁদের জন্য।”