প্রয়াত কিংবদন্তি নাট্যকার তথা অভনেতা মনোজ মিত্র। শোকস্তব্ধ গোটা বাংলা। চোখের জলে ভাসছেন সকলে কাছের মানুষ। কেউ সহকর্মী, কেউ ছাত্রসম, সকলেই মনোজ মিত্রর চলে যাওয়ায় অভিভাবক হারা। চলচ্চিত্র জগতের এ এক বিরাট ক্ষতি। খবর পেয়ে কেঁপে ওঠে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠ। TV9 বাংলাকে বললেন, ‘এখন এক এক করে চলে যাওয়ারই দিন’।
সাবিত্রীর কথায়, “একজন খুব গুণী মানুষ চলে গেলেন। কিছুই বলার নেই। অনেকেই আমরা চলে যাব ঠিকই। তবে ওঁর বিষয় একটা কথাই বলা যায়, সর্বগুণ সম্পন্ন। মানুষ হিসেবে বলুন, অভিনেতা হিসেবে বলুন, তাঁর তুলনা নেই। আমি ওঁর সঙ্গে অভিনয় করেছি। মঞ্চে কাজ করেছি। ছবি করেছি। ওঁর মতো অভিনেতার মৃত্যু হওয়া মানে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাওয়া। কালই আমি ওঁর বিষয় আলোচনা করছিলাম। ওঁর সঙ্গে আমি আমেরিকা ট্যুরও করেছি। আমি ওঁর নাটকের সঙ্গে বেশি জড়িত ছিলাম। আমি ওঁর অনেক নাটক দেখেছি। আমি সেই কাজগুলো করে যে আনন্দ পেয়েছিলাম, এত আনন্দ আমি কখনও পাইনি। একজন ভাল শিল্পীর সঙ্গে যদি কাজ করা যায়, তার থেকে আনন্দের কিছুই হতে পারে না। সহ-অভিনেতা যদি ভাল হন, তার থেকে সুখের আর কিছু হয় না। আমরা সবাই চলে যাব, কেউ তো আর থাকব না। এখন এক এক করে চলে যাওয়ারই দিন।”
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ থেকে কলতায় চলে আসে মনোজ মিত্রের পরিবার। কলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন মনোজ। একদিকে অধ্যাপনা এবং অন্য দিকে থিয়েটার দুদিকেই সমান আগ্রহ ছিল তাঁর। তাই অভিনেতা চেয়েছিলেন কলকাতার কাছের এমন কোনও কলেজে যোগ দিতে, যেখানে চাকরি করতে করতে তাঁর থিয়েটার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। যদিও তাঁর থিয়েটার করাতে একেবারেই মত ছিল না অভিনেতার বাবার। তবে ভাগ্যে ছিল অন্য লিখন। সেই মনোজ মিত্রের নামই বাংলা চলচ্চিত্র জগতে থিয়েটার জগতে আজ স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।