AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সইফের উপর হামলার ঘটনায় নদিয়া থেকে গ্রেফতার এক মহিলা

গ্রেফতার হওয়া এই মহিলার সঙ্গে সইফের হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ফকিরের যোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মহিলার সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল।

সইফের উপর হামলার ঘটনায় নদিয়া থেকে গ্রেফতার এক মহিলা
| Updated on: Jan 27, 2025 | 7:52 PM
Share

১৬ তারিখ বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের হামলার ঘটনায় এবার বাংলা থেকে গ্রেফতার হল এক মহিলা। পিটিআই সংস্থার খবর অনুযায়ী, সূত্র থেকে খবর পেয়ে সোমবার মুম্বই পুলিশের তল্লাশি চালায় নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায়। শেষমেশ চাপড়া অঞ্চল থেকেই পুলিশের জালে পড়ে ওই মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া এই মহিলার সঙ্গে সইফের হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ফকিরের যোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মহিলার সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল। গ্রেফতার হওয়া মহিলা আসলে মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেফতার হওয়া মহিলাকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

১৬ জানুয়ারি মধ্য়রাতের ঘটনা। আচমকাই আসে খবরটা। নিজের বাড়িতেই সইফ আলি খানকে আক্রমণ করেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। এলোপাথারি কোপানো হয় নায়ককে। যদিও এই ঘটনার প্রায় পুরোটাই সকলের জানা এখন। এই ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পর বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন নায়ক। এখন অনেকটাই সুস্থ। বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতিমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সইফই বলতে পারতেন। কারণ, সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে নায়কই মোকাবিলা করেছিলেন হামলাকারী। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুনঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সইফ। বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বই পুলিশ।

২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সইফ তাঁর বয়ানে বলেন, “সেই রাতে তখন আমি আর করিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোওয়ার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পাই ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্‍কার।” সইফ জানিয়েছেন, ছেলের চিত্‍কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সইফ এবং করিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারি। আয়া আলিয়ামা ফিলিপসও ভয়ে পেয়ে চিত্‍কার করছিলেন। আর ভয়ঙ্কর কাঁদছিলেন জেহ। তখনই সেই হামলাকারিকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনই সেই ব্যক্তি সইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েক বার ছুরির আঘাত করেন। তার পরেও সইফ অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভিতরে ঠেলে দেন।