‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর নতুন সাফল্য, কী বললেন অন্বেষা?
Annwesha Hazra: বর্ধমানের অন্বেষা যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে ‘কাজললতা’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’র মতো ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ‘
ঊর্মি এবং সাত্যকির বিয়ের নেমন্তন্ন তো পেয়েছিলেন। এ বার তো রিসেপশন। সেখানেও আপনি আমন্ত্রিত। নবদম্পতিকে চিনতে পারছেন তো? ঠিকই ধরেছেন। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর ঊর্মি এবং সাত্যকি। এই জুটির বিয়ের মাধ্যমেই ধারাবাহিকের মুকুটে যোগ হল নতুন পালক।
এই ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হয় রাত ১০টায়। সূত্রের খবর, সদ্য টিআরপি রেটিংয়ে ওই নির্দিষ্ট স্লটে পাঁচ পেরিয়েছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’। যা এই ধারাবাহিকের জন্যও প্রথম মাইলস্টোন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পরে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলে রাত ১০টার স্লটে টিআরপির এই লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে গেল কোনও ধারাবাহিক। স্বাভাবিক ভাবেই খুশি টিমের সকলেই।
যদিও এই খুশিতে নিজের কাজের বিচ্যুতি ঘটাতে চান না ঊর্মি তথা অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। TV9 বাংলাকে তিনি বললেন, “এটা অবশ্যই ভাল ব্যাপার। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি টিআরপি নিয়ে ভাবি না। আমাদের কাজ করে যেতে হবে। পুরোটাই টিম ওয়ার্ক। যে ভাবে পরিশ্রম করছি, সে ভাবে করে যাব। কিছু মানুষের যে ভাল লাগছে, সেটাই বড় পাওয়া।”
View this post on Instagram
বর্ধমানের অন্বেষা যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। এর আগে ‘কাজললতা’, ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’র মতো ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ‘ঠাকুমার ঝুলি’, ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’তে একটা করে গল্পে কাজ করেছিলেন। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ তাঁর চতুর্থ ধারাবাহিক। প্রতি মুহূর্তে কাজ শেখার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানালেন।
কেরিয়ার শুরুর আগে প্রফেশনাল কোনও ট্রেনিং ছিল কি? অন্বেষা বললেন, “কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় ‘এসএমপিআই’তে এক বছরের কোর্স করেছিলাম। পোর্টফোলিও তৈরি হয় সেখান থেকেই। সম্রাট স্যার বলতেন, সব কিছু তো এক বছরে শেখানো যায় না। ফ্লোরের এক্সপিরিয়েন্স আলাদা। কিন্তু বর্ণপরিচয় পড়তে হয় সকলকেই। ওখানে শেখাটা অ, আ, ক, খ-র মতো।”
বাংলা ধারাবাহিকের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যান বহু দর্শক। ফলে ধারবাহিকে বিয়েবাড়ি মানেই তার সেলিব্রেশন শুরু হয় সোশ্যাল ওয়ালেও। এই ধারাবাহিকও ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েক দিন ধরেই ঊর্মি-সাত্যকির বিবাহ পর্বের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লকডাউন জনিত কারণে প্রায় দু’সপ্তাহ বন্ধ ছিল এই ধারাবাহিক। শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ছিল। সে সময় TV9 বাংলাকে পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার বলেছিলেন, “এটুকু বলতে পারি, ধামাকা আসছে। দর্শক যা আশা করেন, যে এক্সপেকটেশন নিয়ে দেখতে আসেন, তার থেকে বেশি কিছু পাবেন।” সেই ধামাকাই এ বার হাজির।
আরও পড়ুন, রাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করলেন শার্লিন চোপড়া