আমার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে যাঁদের প্রশ্ন রয়েছে, তাঁদের বলছি ‘হৃদয়হরণ’ দেখেছিলেন? : জয়ী দেবরায়

মীরা... শুরু হবে মীরা এবং ভোজরাজের ছোটবেলা দিয়ে। কিছু দিন পর এন্ট্রি হবে বড় মীরা-ভোজরাজ অর্থাৎ দেবাদৃতা-জয়ীর। ইতিমধ্যেই লুক সেট হয়ে গিয়েছে। দেড় বছর পর আবারও কাজে ফিরে উচ্ছ্বসিত অভিনেতা।

আমার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে যাঁদের প্রশ্ন রয়েছে, তাঁদের বলছি 'হৃদয়হরণ' দেখেছিলেন? : জয়ী দেবরায়
জয়ী দেবরায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2021 | 1:54 AM

দেড় বছর পর ছোট পর্দায় কামব্যাক করছেন অভিনেতা জয়ী দেবরায়। নতুন ধারাবাহিক ‘শ্রী কৃষ্ণ ভক্ত মীরা’তে। তাঁকে দেখা যাবে মীরার স্বামী রাজা ভোজরাজের ভূমিকায়। বিপরীতে রয়েছেন আলোছায়া খ্যাত দেবাদৃতা বসু। একেবারে নতুন ধরনের চরিত্র, নতুন ভাবে নিজেকে সাজিয়েছেন জয়ী। হৃদয়হরণ বিএপাশের সেই আত্মভোলা ছেলেটি নয়, ব্যক্তিত্বর দিক দিয়ে রাজা ভোজরাজ অনেক বেশি রাজকীয়। কীভাবে নিজেকে তৈরি করছেন তিনি? অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন টিভিনাইন বাংলার সঙ্গে।

জয়ী জানান, মেগা সিরিয়াল মানেই অনেক দিনের ব্যাপার, তাই প্রথম দিকে এই প্রস্তাব নিতে চাননি তিনি। কিন্তু লুক টেস্টের সময় যে মুহূর্তে কস্টিউম পরানো হয়েছিল তাঁকে তাতেই যেন বদলে গেল সব। জয়ী ঠিক করেন, চরিত্রটি তিনি করবেন। লার্জার দ্যান লাইফ চরিত্র- প্রতিদিন আশেপাশে দেখা মেলে যাঁদের তা থেকে অনেকটাই আলাদা ভোজরাজ। তাই প্রস্তুতির দিকে যাতে কোনও খামতি না থেকে সেই দিকেই কড়া নজর দিচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, “হিরো নয়, নিজেকে অভিনেতা বলতেই ভালবাসি। অভিনয় নিয়ে আমি প্যাশানেট নই, আমি অবসেসড। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ছবি দেখে ফেলেছি, যেখানে রাজা-রাজত্ব-রাজ্যপাটের প্রসঙ্গ রয়েছে। দর্শক যেন আমায় নিয়ে নিরাস না হন, সেটা দেখাই আমার কর্তব্য।”

মীরা… শুরু হবে মীরা এবং ভোজরাজের ছোটবেলা দিয়ে। কিছু দিন পর এন্ট্রি হবে বড় মীরা-ভোজরাজ অর্থাৎ দেবাদৃতা-জয়ীর। ইতিমধ্যেই লুক সেট হয়ে গিয়েছে। দেড় বছর পর আবারও কাজে ফিরে উচ্ছ্বসিত অভিনেতা। হৃদয়হরণের পর অবশ্য দু’টি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। পায়েল সরকার, বনি সেনগুপ্ত বিপরীতে করেছেন ‘বিয়ে ডট কম’। কিন্তু সেই চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকায় তা অনেক সহজসাধ্য ছিল বলেই জানাচ্ছেন তিনি। জয়ীর বিপরীতে দেবাদৃতা। যিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, ‘জয়ী’ ধারাবাহিকে জয়ীর চরিত্র দিয়ে। অফস্ক্রিন-অন্সক্রিন জয়ীর মধ্যে কেমন বন্ধুত্ব হল? জয়ীর উত্তর, “একটা মজার ঘটনা বলি। তখন দেবাদৃতা জয়ীতে অভিনয় করছে। এমন অনেক দিন হয়েছে মাঝেমধ্যেই চ্যানেলের গাড়ি ওর বাড়ি না গিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসত। অফ না অন– কোন জয়ীর কথা বলা হচ্ছে বুঝতে পারত না বোধহয়।”

জয়ীর বড় হয়ে ওঠা এ রাজ্যের বাইরে। তাঁর বাংলা বলা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেও নানা কথা। নানা আলোচনা…সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোজরাজের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কী ভাবছেন তিনি। এক মুহূর্ত না ভেবেই তাঁর সটান উত্তর, “আমার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে যাঁদের প্রশ্ন রয়েছে, তাঁদের আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই ‘হৃদয়হরণ’ দেখেছিলেন? ওই ধারাবাহিক দেখার পর কিন্তু কেউ বলতে পারেনি জয়ী বাংলা বলতে জানে না। বরং সবাই কাজের তারিফ করেছিল। আমিও নিজের সবটা দিয়েছিলাম। এ বারেও তার অন্যথা হবে না। আসল কথা কী জানেন, দর্শকের সঙ্গে কোনও দিন বেইমানি করতে পারব না। মধ্যবয়স্কা আন্টি যখন মাথায় হাত দিয়ে বলবেন, তোমার অভিনয় আমার দারুণ লাগছে বাবা…তার থেকে বড় পাওনা বোধহয় একজন অভিনেতার জীবনে আর কিছু হতে পারে না।”

আরও পড়ুন-Thalaivi: জয়ললিতার বায়োপিক কি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে? মুখ খুললেন কঙ্গনা