Arijita Mukhopadhyay: ‘বাবু’ ডাকে অতিষ্ঠ, সিনেমাহলে ‘বদমাশ মেয়ে’ বলে অরিজিতাকে আক্রমণ!
Arijita Mukhopadhyay:মাম্মাজ বয়'-- এই শব্দটি অভিধানে খুব একটা পুরনো নয়। মায়ের কথায় ছেলে ওঠে বসে, এই উদাহরণ সংসারে খুব একটা বিরল নয়। 'নিম ফুলের মধু' এমনই এক ধারাবাহিক যে ধারাবাহিকে, কৃষ্ণা অর্থাৎ সৃজনের মা এমনই একজন মা যে কিনা ছেলের ফুলশয্যার দিনেও দরজার বাইরে গিয়ে কড়া নাড়েন, আড়ি পেতে শুনতে চান কী বলা হচ্ছে!
‘মাম্মাজ বয়’– এই শব্দটি অভিধানে খুব একটা পুরনো নয়। মায়ের কথায় ছেলে ওঠে বসে, এই উদাহরণ সংসারে খুব একটা বিরল নয়। ‘নিম ফুলের মধু’ এমনই এক ধারাবাহিক যে ধারাবাহিকে, কৃষ্ণা অর্থাৎ সৃজনের মা এমনই একজন মা যে কিনা ছেলের ফুলশয্যার দিনেও দরজার বাইরে গিয়ে কড়া নাড়েন, আড়ি পেতে শুনতে চান কী বলা হচ্ছে!
ওই চরিত্রটি বেশ কিছু সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে তুলে ধরছেন অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। বাস্তব জীবনে এখনও বিয়ে করেনি তিনি। সন্তান হওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার। তবু পর্দায় সৃজনকে ‘বাবু বলে ডাক’ ও তা নিয়ে মিম– সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেরিয়েছে অতীতে। নেটিজেনদের একটা বড় অংশ তাঁকে মনের সুখে সামাজিক মাধ্যমে করে এসেছে গালাগালি। এতটাই সাফল্যের সঙ্গে চরিত্রটি তুলে ধরেছেন তিনি যে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, বাস্তব জীবনেও সুদক্ষ অভিনয়ের কারণে জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এ কথা খোদ অরিজিতা, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ‘দাদাগিরি’তে।
জানিয়েছেন একবার এক সিনেমা হলে গিয়েছেন তিনি। হঠাৎই সেখানে এক মহিলা তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন। শুধু সেই মহিলাই নন, তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্যও অরিজিতার সঙ্গে ছবি তোলেন। তাঁর কথায়, “এত অবধি ঠিকই ছিল, ছবি তোলা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে হঠাৎ করে তিনি কিছুটা এগিয়ে গিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠেন, ‘বদমাশ মহিলা’। ওই মুহূর্তে আমি অবাক হয়ে যাই। কিছুই বুঝতে পারছি না আমার কী করা উচিত।” অরাজিতার কথা শুনে হেসে ফেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “সব বাড়িতে এরকম ‘বাবু বাবু’ করা হয় কিন্তু মা বাথরুমে বাথরুমে ঢুকে পড়েন না।”
এ তো গেল সিরিয়ালের কথা বাস্তব জীবনে স্পষ্টবাদী অরিজিতা নিজে এরকম ধরনের ছেলেদের কিভাবে দেখেন এ নিয়ে অতীতে টিভি নাইন বাংলার কাছে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “আমি অবিবাহিত। কিন্তু সত্যিই যদি এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়ে কখনও, তা হলে আমি কথা বলে পরিস্থিতি সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমি আমার স্বামীকে বা সঙ্গীকে বলব, ‘আমি এর বাইরের তুমিটাকে ভালবেসেছি।’ আমি জানতে চাইব, মায়ের ছেলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি এবং ছেলের মাকে অন্ধের মতো সাপোর্ট করার ইতিহাসটা কী… তারপর আমি দু’জনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই অবসেশনের জায়গাটা কমানোর চেষ্টা করব।”