Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sudipa Chatterjee: ‘কী করেছে জীবনে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে’, অরিত্রকে পাল্টা তোপ সুদীপার

Sudipa Chatterjee: বিগত দু'দিন ধরেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে বসছে খাপ পঞ্চায়েত। নেপথ্যে সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট।

Sudipa Chatterjee: 'কী করেছে জীবনে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে', অরিত্রকে পাল্টা তোপ সুদীপার
অরিত্রকে পাল্টা তোপ সুদীপার
Follow Us:
| Updated on: Aug 30, 2022 | 2:16 PM

 

বিহঙ্গী বিশ্বাস 

 

বিগত দু’দিন ধরেই উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে বসছে খাপ পঞ্চায়েত। নেপথ্যে সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট। তিনি লিখেছিলেন, “আমি শুধু জানতে চাই একজন ডেলিভারি বয়ও ফোন না করে কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না? ফোন করে কেন বলেন, ‘আমি আসছি আপনি গেটটা খুলুন।” সুদীপা আরও লেখেন, “আমি কি দারোয়ান, যে গেট খুলব?” আর এতেই রীতিমতো চটে যান নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। নিন্দায় সরব হন অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকও। ফেসবুকে সুদীপাকে নিয়ে এক লম্বা চওড়া পোস্ট করেন তিনি। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে টিভিনাইন বাংলা ফোন করতেই অরিত্রকে তোপ দাগলেন সুদীপা। তাঁর সাফ কথা, “অরিত্র জীবনে কী করেছে যে ওর কথা আমায় শুনতে হবে”?

অরিত্র ঠিক কী লিখেছিলেন? তিনি লিখেছিলেন, “… জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা যাকে লক্ষাধিক মানুষ ফলো করেন তার কাছ থেকে এই বক্তব্য একেবারে কাম্য ছিলোনা। তাও উনি পোস্টটা ডিলিট করেছেন তবে মাথায় রাখবেন পোস্ট সরিয়ে নিলেই মন থেকে অহংকারী মানসিকতা সরে যায় না।” এ প্রসঙ্গে সুদীপা চাঁচাছোলা কথা, “আমি যতদূর জানি অরিত্র যখন ছোট ছিল তখন ট্র্যাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালে ওর বাবা-মা’ই বলতেন ভেতরে অরিত্র আছে। আর তা ছাড়া ও কে? কী করেছে জীবনে যে ওর কথা শুনতে যাব? বড়দের সম্মান দিতে জানে না। আমরা কিন্তু কখনওই আমাদের আগের প্রজন্মের সঙ্গে এভাবে কথা বলার সাহসটুকু পর্যন্ত পাইনি।” এখানেই না থেকে সুদীপা আরও বলেন, “আসলে ও তো এখন কিছু করে না, তাই আমার মনে হয় আমার নামটাকে নিয়ে যদি একটু পেজটার সক্রিয়তা বাড়াতে পারে সেই কারণেই ওসব লিখেছে ও”।

অন্যদিকে ওই পোস্টের স্বপক্ষে তাঁর বক্তব্য, “, “আগেকার দিন পোস্টমাস্টারদের কাছে জিপিএস, নেভিগেশন থাকত না, তাও তাঁরা বাড়ি খুঁজে ঠিক চলে আসতেন। এখন ‘অ্যাভয়েড কলিং’ লেখা থাকলেও ডেলিভারি বয়েরা ক্রমাগত ফোন করতে থাকেন– সেই কারণেই নেহাত মজা করে একটি পোস্ট করেছিলাম। অপমান কেন করতে যাব? আমার তো তাঁদের সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই।” সুদীপা যোগ করেন, “মানুষ এখন আর্থ সামাজিক কারণে এমন এক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যে সামান্য মজা নিতেও ভুলে যাচ্ছে সে। তারা দেখছে, মহিলা সোনার গয়না পরে, বাড়িতে দুর্গাপুজা হয়, শাড়ির দোকান আছে, তার মানে টাকা পয়সা আছে। তাই একে অপমান করলে আমাদের গায়ের ঝালটা মিটবে। অমিতাভ বচ্চনও ট্রোল্ড হচ্ছেন সেখানে আমি কে? ” প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার বহু বিষয়ে ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। যদিও সঞ্চালিকা দাবি করেছেন বহু ক্ষেত্রেই তাঁর বক্তব্যের ইচ্ছাকৃত ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এবারেও সেই একই কটাক্ষ। যদিও সুদীপা স্পষ্ট করেছেন তাঁর অবস্থান।