Swagata Mukherjee: বহুদিন পরে ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর সঙ্গে সময় কাটালেন স্বাগতা!
Swagata Mukherjee: স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রোডাকশনের ধারাবাহিক ‘সর্বজয়া’তে অভিনয় করছেন স্বাগতা। সেখানেও তাঁকে নেগেটিভ চরিত্রেই দেখা যাচ্ছে।
লাল রঙা ববি প্রিন্টের ড্রেস। খোলা চুল। লাল লিপস্টিক। মানানসই মেকআপ। ইনি এক নায়িকা। বাংলা টেলিভিশনে তাঁর কাজ দেখেছেন আপনি। কিন্তু তাঁর অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। তিনি নাকি অভিনেত্রী স্বাগতা মুখোপাধ্যায়ের ‘গার্লফ্রেন্ড’! কে তিনি?
স্বাগতার ‘গার্লফ্রেন্ড’ অর্থাৎ অভিনেত্রী বিজয়লক্ষ্মী চট্টোপাধ্যায়। সদ্য ফেসবুকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন স্বাগতা। সঙ্গে রয়েছেন বিজয়লক্ষ্মী। ক্যাপশনে স্বাগতা লিখেছেন, ‘বহুদিন পরে আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ড’। ‘রানু পেল লটারি’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এই দুই অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে যে শুধুমাত্র পেশাদারিত্ব থাকে না, কোথাও বন্ধুত্ব, সাহচর্যের সম্পর্কও তৈরি হয়, এই ছবিগুলি তারই প্রমাণ।
শুধু অভিনেত্রী নন, স্বাগতার অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। তিনি শিক্ষিকা। অ্যাকাডেমি অব পারফর্মিং আর্টস মিউজিক অ্যান্ড অ্যাক্টিং-এর কর্ণধার স্বাগতা এবং তাঁর স্বামী তথা অভিনেতা ঋষি মুখোপাধ্যায়। তাঁদের তত্ত্বাবধানে বহু শিক্ষার্থী অভিনয়ের তালিম নিচ্ছেন। সিনিয়র হিসেবে বিজয়লক্ষ্মাীও কাজের ক্ষেত্রে স্বাগতার থেকে পরামর্শ নেন।
স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রোডাকশনের ধারাবাহিক ‘সর্বজয়া’তে অভিনয় করছেন স্বাগতা। সেখানেও তাঁকে নেগেটিভ চরিত্রেই দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে ‘বিক্রম ও বেতাল’ ধারাবাহিকে ‘কালরুদ্রাণী’র চরিত্রে অভিনয় করলেন স্বাগতা। টেকনিশিয়ান স্টুডিও থেকে শুটিংয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। স্বাগতা লিখেছিলেন, ‘কালরুদ্রাণী। শেষের পরে শুরুর খবর।’ কেরিয়ারে নেগেটিভ চরিত্রের সংখ্যাই বেশি। পর পর নেগেটিভ চরিত্র বেছে নেওয়ার কারণ? এ প্রশ্নের উত্তরে আগেই TV9 বাংলাকে স্বাগতা বলেছিলেন, “দেখুন, রান্না করলে মাছ, মাংস, শুক্তো, আলাদা আলাদা পদ তৈরি করে দারুণ রান্না করলে সেটা একরকম। আর শুধু মটনের বিভিন্ন পদ তৈরি করে তার ফ্লেভারটা আলাদা করতে পারলে, তবেই বোঝা যাবে কেউ কত বড় রাঁধুনি। আমি এখনও পর্যন্ত কোনও নেগেটিভ চরিত্র একরকম করিনি। ‘পটলকুমার’, ‘ঝাঁজ লবঙ্গ ফুল’, ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’ সব কটাতে আলাদা। এটা আমার কাছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।” টেলিভিশনের বিভিন্ন প্রজেক্টে স্বাগতার অভিনয় এতটাই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যে তাঁকে দেখে রেগে যান দর্শকের বড় অংশ। আর সেখানেই হয়তো স্বাগতার সাফল্য।
অন্যদিকে ‘অলক্ষ্মী’, ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’-র মতো ধারাবাহিকে বিজয়লক্ষ্মীর অভিনয় দেখেছেন দর্শক। অনেক ছোট বয়স থেকেই অভিনয় শুরু করেন তিনি। অভিনয় এবং পড়াশোনা ব্যালেন্স করে চলেছেন। এই মুহূর্তে তাঁর কোনও কাজ দেখা যাচ্ছে না টেলিভিশনে ফের কবে টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে দেখা যাবে, তার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শক।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কী কী পুজোর উপহার পেলেন নীল-তৃণা?