AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আশীষের ৫৭ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিবাহ, শোনেন, ‘ছেলের বিয়ের সময় বাপ করছে!’

Ashish Vidyarthi: ২২ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে, আরও একটা বিয়ে করেছেন বলিউডের ভিলেন অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী। সেই বিয়েটা করতেই নানা ধরনের খারাপ কথা শুনতে হয় আশীষকে। খুবই বিশ্রী লেগেছে অভিনেতার। কিন্তু ৫৭ বছর বয়সে এসে আরও একটা বিয়ে কেন করলেন আশীষ?

আশীষের ৫৭ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিবাহ, শোনেন, 'ছেলের বিয়ের সময় বাপ করছে!'
আশীষ বিদ্যার্থী।
| Updated on: May 23, 2024 | 10:48 AM
Share

আশীষ বিদ্যার্থী। হিন্দি ছবির জগতের এক দুর্দান্ত অভিনেতা। তিনি ছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার জামাই। বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রীর কন্যা পিলুকে। পিলুর ভাল নাম রাজশী। অর্থ তাঁদের একমাত্র পুত্রসন্তান। ২০২২ সালে আশীষের সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছিল পিলুর। একাকী থাকবেন না আশীষ, তাই অভিনেতা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তিনি দ্বিতীয় বিয়েটা করবেন। এদিক-ওদিক পাত্রীর সন্ধান চলতে থাকে। সেই সময় আশীষের বয়স ৫৭। এই বয়সে এসে দ্বিতীয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতেই নানা ধরনের কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল আশীষকে। তবে তিনি মুষড়ে পড়েননি। জীবনকে দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছিলেন। অভিনেতা মনে-প্রাণে এটাই বিশ্বাস করেন, জীবনে কোনও বিপর্যয় ঘটলে তা থেমে থাকে না। স্রোতস্বিনীর ন্যায় প্রবাহিত হতে থাকে। প্রথম স্ত্রী পিলুর প্রতি আজও সম্মান এবং ভালবাসা রয়েছে আশীষের। ২২ বছরের দাম্পত্যের এটাই আসল রসদ। যে কারণেই ছাড়াছাড়ি হোক, একদা স্ত্রীর প্রতি সম্মান যাতে অটুট থাকে, বিষয়টি নিয়ে বিশেষ স্পর্শকাতর অভিনেতা। সেই কারণেই হয়তো ইন্ডাস্ট্রির লোকজন মনে করেন, পর্দায় এই দুঁদে ভিলেনের মনটা খাঁটি সোনা। না পুড়লে যে সোনা তৈরিও হয় না। নানা ভাবে সেই আগুন দগদগে করেছে আশীষের নরম মনটাকে। কিন্তু সবকিছুকে তোয়াক্কা করেই অভিনেতা স্থির করলেন, তিনি বিয়ে করবেন আরও একবার এবং তিনি প্রমাণ করবেন ডিভোর্স মানেই থেমে যাওয়া নয়। বরং নতুন কিছু সূচনা। শেষে পাত্রী পাওয়া গেল আশীষের। ২০২৩ সালে অসমীয়া রুপালি বড়ুয়াকে বিয়ে করলেন আশীষ।

বিয়েটা করেই ঘটে গেল যত্ত বিপত্তি। আশীষকে শুনতে হল, “ছেলে অর্থের বিয়ের বয়স হয়েছে, আর এই বয়সে আপনি বিয়ে করছেন।” আরও অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়ে আশীষকে, যা এই প্রতিবেদনে লেখার অযোগ্য। আশীষ বলেছেন, “আমি মনে করি, একটা সম্পর্ক শেষ হলে সেটাই জীবনের গতি স্থির করে না। জীবন প্রবাহমান। ফলে আমি আবারও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম।” আর আশীষের দ্বিতীয় স্ত্রী?

এই জটিল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কটূক্তি শুনেছিলেন আশীষের দ্বিতীয় স্ত্রী রুপালি। তাঁর পরিবার থেকে সকলে আশীষের বিয়েটা সানন্দে মেনে নিয়েছিলেন। এর কারণে সকলেই চেয়েছিলেন রুপালি বিয়ে করুন। কিন্তু চারপাশের লোকজনের কথাকে কে আটকাবে? যতই যাই হয়ে যাক না কেন, এখনও পর্যন্ত মহিলাদেরই বেশি কালিমালিপ্ত হতে হয়। রুপালির গায়েও তাই ধেয়ে আসে কটাক্ষের কাদা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাকে শুনতে হয়েছে আমি একজনের সংসার ভেঙেছি। মানুষ তো সবটা জেনেবুঝে মন্তব্য করেন না। অধিকাংশটাই মন্তব্য করেন না জেনে। আমাকেও তাই-ই করেছিলেন। কিন্তু বলতে চাই, আশীষের সঙ্গে যখন পিলুর সম্পর্কটা ভেঙে যায়, আমি পিকচারেই ছিলাম না। ওর ডিভোর্সের পরই আমার আশীষের সঙ্গে আলাপ হয়। আমরা কিন্তু ভাল আছি। আশীষ খুবই ভাল একজন মানুষ।”