ভুতুর কি মেমরি লস হয়েছে? এবার চাঁচাছোলা ভাষায় সত্যি ফাঁস শিশুশিল্পীর মায়ের
Bhutu-Arshiya Mukherjee Memory Loss: '...আমার কিছু মনে নেই', ছোটবেলার কথা বেমালুম স্মৃতি থেকে মুছে গিয়েছে ভুতু, ওরফে শিশু শিল্পী আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়ের। তার মুখে এই কথা শুনে অনেকের এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, আর্শিয়ার মেমরি লস হয়েছে। এবার TV9 ডিজিট্যালকে সত্যিটা জানালেন তার মা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শিশুশিল্পী আর্শিয়া মুখোপাধ্যায়, ওরফে ভুতু (ভুতু সিরিয়ালের সেই ছোট্ট ভূত) বলেছে ছোটবেলার কথা তাঁর কিছুই মনে নেই। সিরিয়ালে অভিনয়, ভুতু হিসেবে তাঁর সেট মাতানো, জনপ্রিয়তা, দেবের সঙ্গে কাজ–সবটাই স্মৃতি থেকে মুছে গিয়েছে আর্শিয়ার। তার এই কথা শুনে অনেকেরই ধারণা হয়েছে আর্শিয়ার মেমরি লস হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি যে সত্যি নয়, তা ভুতুর মা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় খোলসা করলেন TV9 ডিজিট্যালের কাছে। ভুতু, তথা আর্শিয়া এখন অভিনয় থেকে খানিকটাই দূরে। লেখাপড়ায় মন বসিয়েছে সে। ক্লাস নাইনে পড়ে। সামনেই বোর্ডের পরীক্ষা।
ভুতুর মা ভাস্বতীর বক্তব্য, “আমার মেয়ে একটা সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিল, ওর ছোটবেলার কথা কিছু মনে নেই। সেটা শুনেই সকলের মনে হতে শুরু করেছে ওর মেমরি লস হয়েছে। আসলে ওর কিন্তু মেমরি লস হয়নি। ছোটবেলার কথা কি কারও মনে থাকে? থাকে না তো? একইভাবে আমার মেয়ে আর্শিয়ারও কিছু মনে পড়ে না। আমার মুখেই সব কিছু শোনে এবং অবাক হতে থাকে।”
আর্শিয়ার শৈশব কেটেছে টলিপাড়ার স্টুডিয়োতে। তার দিদি একটি সিরিয়ালে অভিনয় করত। দিদির সঙ্গে সেটে গিয়েছিল আর্শিয়া। তখনই তাকে নির্মাতাদের পছন্দ হয়। প্রথমে ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ সিরিয়াল, তারপর ‘ভুতু’তে কাস্ট করা হয়েছিল তাকে। অল্পদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠে শিশুশিল্পী। দিনরাত শুটিং করত। রাতে ঘুমে ঢলে পড়ত যখন, তাকে স্টুডিয়োময় স্কুটিতে ঘুরিয়ে আনা হত। চকোলেট, চিপসের লোভ দেখিয়ে ঘুষ দেওয়া হত। এ সব কিছু আর মনে করতে পারে না আর্শিয়া। মনে পড়বেই বা কী করে, ক্লাস নাইনের ছাত্রীর তখন মাত্র ৬ বছর বয়স।
‘ভুতু’ সিরিয়াল শেষ হল। হিন্দি ভাষাতেও তৈরি হল ‘ভুতু’। সেখানেও নির্মাতারা আর্শিয়াকেই চাইলেন। কারণ, আর্শিয়ার জনপ্রিয়তা। সে ছাড়া ভুতু কেউ করতেই পারবে না। হিন্দি ‘ভুতু’ যতদিন চলল, আর্শিয়াকে থাকতে হল মুম্বইতেই। তারপর কলকাতায় ফিরে এসে ‘রানু পেল লটারি’, ‘মীরা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করল আর্শিয়া। দেবের সঙ্গে ‘ককপিট’ ছবিতেও দেখা গেল তাকে। কিন্তু সেসবই শৈশবের ঘটনা। আর্শিয়ার কিছু মনে পড়ে না। শিশু শিল্পীর মা বলেছেন, “সহ-অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মনে আছে আমার মেয়ের। মস্তিষ্ক থেকে স্মৃতি মুছে গিয়েছে ঘটনার। বলা ভাল ফেড (আবছা) হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওর মেমরি লস হয়নি।” আর্শিয়া কিন্তু বলেছে, টাইমমেশিনে চেপে সে চলে যেতে চায় ২০১৫ সালে। তার জীবনের সেই স্বর্ণালী সময়টায়। যখন ইংরেজি ভুত ক্যাসপারের মতো মন ভরাত সক্কলের আর বলত, ‘টানা না না না না না…’





