Jamai Shasthi: কোলে বসিয়ে রাজকীয় জামাইষষ্ঠী পালন দেবাশিস কুমারের, মেনুতে কী কী?

Jamai Shasthi: সকাল সকালই হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক, মেয়র পারিষদ ও সম্পর্কে তাঁর শ্বশুর দেবাশিস কুমারের বাড়িতে। সঙ্গে ছিল লোভনীয় সব খাবার। শুধু কি খাবার? আদরেরও খামতি ছিল না এতটুকু। কী হল কুমার বাড়ির অন্দরে? সেই ঝলকই দেখালেন দেবলীনা

Jamai Shasthi: কোলে বসিয়ে রাজকীয় জামাইষষ্ঠী পালন দেবাশিস কুমারের, মেনুতে কী কী?
রাজকীয় জামাইষষ্ঠী পালন দেবাশিস কুমারের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 25, 2023 | 6:13 PM

আজ জামাইষষ্ঠী। সকাল থেকেই টেলিপাড়ার বরেরা ব্যস্ততা সামলে সামিল হয়েছে জামাইষষ্ঠী খেতে। শাশুড়ির হাতের রকমারি খাবার থেকে শুরু করে শ্বশুরের আপ্যায়ন আয়োজনে ত্রুটি নেই কিছুতেই। আর এই সেলিব্রেশন সামিল অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়ও। সকাল সকালই হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক, মেয়র পারিষদ ও সম্পর্কে তাঁর শ্বশুর দেবাশিস কুমারের বাড়িতে। সঙ্গে ছিল লোভনীয় সব খাবার। শুধু কি খাবার? আদরেরও খামতি ছিল না এতটুকু। কী হল কুমার বাড়ির অন্দরে? সেই ঝলকই দেখালেন দেবলীনা। বাবার কোলে চেপে দেবলীনা ফটো আগেই দেখেই নেটবাসীরা। তাতে যদিও পূর্বে সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর। ‘এত বড় মেয়ে’র বাবার কোলে ওঠা নিয়ে নিন্দুকেরা তাকিয়েছিলেন বাঁকা চোখে। কিন্তু সেই বক্রোক্তিকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাবার কোলে চেপেই ছবি পোস্ট করেছেন দেবলীনা। আর গৌরব তাঁর মায়ের কোলে। খাবারদাবারের আয়োজন? দেখলে রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে। সরু চালের ভাত, ছোট মাছ ভাজা, শাক, বেগুনভাজা, আলু ভাজা থেকে শুরু করে কাঁকড়া, চিংড়ি, বেশ কয়েক রকমের মাছ, রকমারি সবজি… কী নেই তালিকায়। আম-মিষ্টিরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল আদরের জামাইয়ের জন্য। শুধু যে জামাইয়ের জন্যই ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা কিন্তু নয়, দেবলীনাকেও গুছিয়ে খেতে দিয়েছিলেন বাবা-মা। হাজার হোক, একটি মাত্র মেয়ে বলে কথা। ছবি শেয়ার করে দেবলীনা লিখেছেনম “জামাই আদর, মায়ের আদুরে জামাই, সব জামাইদের হ্যাপি ষষ্ঠী, হ্যাপি পেটপুজো”।

এ তো গেল খাওয়াদাওয়ার কথা। বিপুল পরিমাণ খাওয়া দাওয়া দেখে নেটিজেনদের রসিক মন্তব্য, “গৌরবদা এই এত কিছু একা খেলেন? আর যদি খেয়েও থাকেন হজমের ব্যবস্থা করেছেন তো?”

দেবলীনা বিধায়ক-কন্যা, রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। সে কারণেই মাঝেমধ্যেই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে দেবলীনাকে। এর আগে এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ট্রোলিং হয় আমাকে নিয়ে। বলা হয় যে আমি বিধায়ক কন্যা এবং এই মুহূর্তে উত্তরকুমারের নাত বউ বলেই আমি প্রচণ্ড প্রিভিলেজড। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এর অনেক নেগেটিভ পয়েন্টস আছে। আমাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। খালি মনে হয়, আমি যা-যা করছি, কিংবা যেভাবে নিজেকে মেলে ধরছি, সেটা হয়তো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে। এবং বিশ্বাস করুন, আমি ভীষণ সফ্ট টার্গেট। মনে করি, আমাকে অনেক কিছু সহজেই শোনানো যায়। ট্রোলাররা কাজ কখন করেন আমি জানি না। তাঁদের একটা ধারণা আছে, তাঁরা সেলেব্রিটিদের যা খুশি তাই বলতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আমরা টার্গেট হই। আমি একটু বেশিই টার্গেট হই।”