Nusrat Jahan: ‘সন্তান’-এর মৃত্যু দু’দিনেই ভুললেন?’, কটাক্ষের পাল্টা জবাব নুসরত জাহানের
Nusrat Jahan: নুসরত জাহান-- দু'দিন আগেই হারিয়েছেন পোষ্য হ্যাপিকে। সন্তানের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না সেই চারপেয়ে। নিজের ছেলে বলেই তাঁকে উল্লেখ করতেন নুসরত। সে চলে যাওয়ায় বেশ ভেঙেই পড়েছিলেন নুসরত।
নুসরত জাহান– দু’দিন আগেই হারিয়েছেন পোষ্য হ্যাপিকে। সন্তানের থেকে কোনও অংশে কম ছিল না সেই চারপেয়ে। নিজের ছেলে বলেই তাঁকে উল্লেখ করতেন নুসরত। সে চলে যাওয়ায় বেশ ভেঙেই পড়েছিলেন নুসরত। ইনস্টাগ্রামে করেছিলেন আবেগঘন পোস্ট। এ গেল গত রবিবারের কথা। গতকাল অর্থাৎ সোমবার ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সেই উপলক্ষেই একটি পোস্ট করেছিলেন নুসরত। ছোট পোশাকে তাঁর সেই ছবি দেখে উড়ে এসেছিল কটাক্ষ। অনেকেরই মনে হয়েছিল, নুসরতের ওই কান্নাকাটি, ওই শোক আদপে লোকদেখানো। এবার সেই সব কটাক্ষের কড়া জবাব দিলেন নুসরত। না বলেই যেন বলে দিলেন অনেক কিছু। যখন তাঁকে নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া তখন একটি পোস্ট করেছেন নুসরত। যে পোস্টে লেখা, “অন্য মানুষের জীবন নিয়ে যে সব মানুষ আলোচনা করেন তাঁরা হয়তো নিজে জীবনে খুশি নয়।”
বার্তা দিয়েছেন নুসরত। সেই বার্তা যে এই প্রসঙ্গেই আভাস মিলেছেন সে রকমই। নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা শুরু থেকে কম হয়নি। বিতর্কের অন্য নাম তিনি। চিরকালই ‘বোল্ড ও বিউটিফুল’। তবে সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে সবচেয়ে বেশি কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাঁকে। নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক– এ সব নিয়ে চর্চাও নেহাৎ কম হয়নি। নুসরত ও নিখিলের বিয়ে কেন টিকল না, সে অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু যশ ও নুসরতের প্রেম কীভাবে শুরু হয় জানেন? হার মানাবে সিনেমাকেও। এক সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রেমে পড়েন দু’জনে।
এক টক শো নায়িকা জানিয়েছিলেন তিনি ও যশ নাকি ব্রেকআপ করবেন বলে স্থির করে নিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছিল অন্য কাণ্ড। গাড়ি নিয়ে নুসরতের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন যশ। নায়িকাকে বলেছিলেন, হয় নুসরত নিচে নামবেন অথবা যশ উপরে আসবেন। নুসরতের কথায়, “সেদিন আমাদের ব্রেকআপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু না, হয়নি।” ব্রেকআপের বদলে দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা নাকি পালিয়ে যাবেন। ব্যস, ওই প্রেমের শুরু… এখন তাঁদের সংসারে আগমন হয়েছে ঈশানের । এর আগে টিভিনাইন বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে নুসরত জানিয়েছিলেন কাজ ও সংসার ব্যালেন্স করতে তাঁকে সবসময় সাহায্য করেন যশ। আর বাবা হিসেবে যশ দাশগুপ্তকে দিয়েছিলেন ফুল মার্কসেরও বেশি নম্বর। তবে আপাতত দাশগুপ্ত ও জাহান পরিবারের শোকের ছায়া। আচমকা এই খবরে মুষড়ে পড়েছেন যশ-নুসরত।