‘থলথলে বৌদি’ শ্রীলেখা? রিমঝিমের ‘বিতর্কিত’ কমেন্টে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া

শ্রীলেখা একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে জনৈক শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পোস্টের কমেন্ট সেকশনে রিমঝিম মিত্র লিখেছেন, "থলথল বৌদি আমায় ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিণ্ড কি এটা ঠিক করল আমার সঙ্গে?"

'থলথলে বৌদি' শ্রীলেখা? রিমঝিমের 'বিতর্কিত' কমেন্টে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
শ্রীলেখা-রিমঝিম।
Follow Us:
| Updated on: May 26, 2021 | 4:56 PM

সকাল থেকেই উত্তাল ফেসবুক। অভিনেতা তথা বিজেপি নেত্রী রিমঝিম মিত্রর একটি পুরনো কমেন্ট নিয়ে উত্তাল নেটপাড়া। নেটিজেনদের একাংশের ধারণা রিমঝিম সেই পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর উদ্দেশ্যে। অন্যদিকে রিমঝিমের বক্তব্য,’ফুটেজ’ খাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ঠিক কী হয়েছে?

শ্রীলেখা একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে জনৈক শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পোস্টের কমেন্ট সেকশনে রিমঝিম মিত্র লিখেছেন, “থলথল বৌদি আমায় ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিণ্ড কি এটা ঠিক করল আমার সঙ্গে?” এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নামকে বিকৃত করে খানিক সারকাজমের সুরে রিমঝিম লিখেছেন, “মুদী মাস্ট রিজাইন”। সেই শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ওয়ান অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ওয়ান্ডার বামপন্থী বৌদি অভিনেত্রী’…।
না, কমেন্টে রিমঝিম বা ওই ব্যক্তি শ্রীলেখার নাম নেননি। কিন্ত টিভিনাইন বাংলার তরফে শ্রীলেখা মিত্রকে ফোন করা হলে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যে কেউ দেখলেই বুঝবে পোস্টটি তাঁর উদ্দেশ্যেই।

 

কারণ শ্রীলেখার বক্তব্য অনুযায়ী, রিমঝিম তাঁর পোস্টে যে ‘কমরেট’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন তা আদপে ‘কমরেড’ শব্দের বিকৃতকরণ। আর শ্রীলেখা যে বামপন্থার সমর্থক সে সম্পর্কে সবাই অবগত।

তিনি আরও জানান, রিমঝিম মিত্র তাঁর কমেন্টে যে ব্লকের কথা উল্লেখ করেছেন তা তাঁর উদ্দেশ্যেই। কারণ, শ্রীলেখাই মাস কয়েক আগে বিশেষ কারণে রিমঝিমকে ব্লক করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “আমি সত্যিই জানি না কী বলব! মানুষের উইকনেস নিয়ে জীবনে কোনওদিনও কিছু বলিনি। সেখানে একজনকে এভাবে বডিশেমিং যে কেউ করতে পারে তা ভাবতেই আমার অবাক লাগছে। তবে রিমঝিম এরকম ভাষা ব্যবহার করে। আমি এর আগেও শুনেছি।”

আরও পড়ুন-‘সাত কোটি টাকা’ দিয়ে সেলেব কেনা প্রসঙ্গে ‘দুই মিত্র’র ফেসবুক বিতণ্ডা, জল গড়াবে আদালতে?


অন্যদিকে রিমঝিম মিত্রকে টিভিনাইন বাংলার তরফে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে পরিবর্তে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, “যার যার বাজার মন্দা যাচ্ছে ফুটেজ এর জন্য নিজে খেটে খান, আমার নামে ফালতু বিল কাটবেন না।” উলেক্ষ্য এখানেও তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু সকাল থেকে হওয়া এই বিতর্কের পরেই রিমঝিমের ওই পোস্টে নেটিজেনদের ধারণা এবারের পোস্টটিও শ্রীলেখার উদ্দেশ্য করেছেন তিনি।

শ্রীলেখার বক্তব্য, “যদি ধরেও নিই রিমঝিম আমার উদ্দেশ্যে ওর কমেন্টটি করেনি, কোনও মানুষকে নিয়েই কি এরকম মন্তব্য করতে পারে? কারও শারীরিক গঠন নিয়ে এভাবে কুৎসিত মন্তব্য করা যায় কি? বডিশেমিং করা তো অপরাধ।”
এর আগেও প্রকাশ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন শ্রীলেখা-রিমঝিম। মার্চ মাসের মাঝামাঝি নির্বাচনের আগে সাত কোটি টাকার বিনিময়ে এক সেলিব্রিটির বিজেপিতে যোগদানের অভিযোগ এনেছিলেন শ্রীলেখা। রিমঝিমও পাল্টা লিখেছিলেন, যদি শ্রীলেখা উপযুক্ত প্রমাণ না দেখাতে পারেন, তবে আইনি পথে হাঁটবে তাঁর দল।