Srabanti Chatterjee: শুটিং শুরুর আগেই ‘ছাত্রী’ শ্রাবন্তীকে ‘লেটার মার্কস’ পরিচালকের, মজা আর ভয়ে মজে নায়িকাও
Srabanti Chatterjee: ইনস্টা-রিলস, স্টোরির সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সিনেমার শুটিং চলাকালীনই অনেক বিষয় খবর হয়। কখনও-কখনও বিপণন বিভাগের সুকৌশলীও প্রচেষ্টাও শিরোনামে নিয়ে আসে ছোট-বড় ব্যানারের বিভিন্ন সিনেমার প্রি-পোডাকশন পর্বের নানাবিধ গল্প। তবে সম্প্রতি টলিউডের একটি ছবির শুটিং শুরু হওয়ার আগে যেভাবে তা খবরের বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে, তাতে তাক লেগে যাচ্ছে অনেকেরই।
ইনস্টা-রিলস, স্টোরির সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সিনেমার শুটিং চলাকালীনই অনেক বিষয় খবর হয়। কখনও-কখনও বিপণন বিভাগের সুকৌশলীও প্রচেষ্টাও শিরোনামে নিয়ে আসে ছোট-বড় ব্যানারের বিভিন্ন সিনেমার প্রি-পোডাকশন পর্বের নানাবিধ গল্প। তবে সম্প্রতি টলিউডের একটি ছবির শুটিং শুরু হওয়ার আগে যেভাবে তা খবরের বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে, তাতে তাক লেগে যাচ্ছে অনেকেরই। কথা হচ্ছে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রের ড্রিম প্রজেক্ট ‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে। এই মুহূর্তে যেমন আলোচনার বৃত্তে ছবির নাম ভূমিকায় থাকা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ঘোড়ায় চাপা থেকে নায়িকার তলোয়ার চালনার প্রশিক্ষণ… দর্শক সবটাই দেখতে পাচ্ছে সমাজ মাধ্যমের টাইমলাইনে। এই ছবিতে ভবানী পাঠকের চরিত্রে থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পুজোর আগে যিনি তুমুল ব্যস্ত সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত কপ ইউনিভার্সের ছবি ‘দশম অবতার’-এর প্রোমোশন নিয়ে। বুম্বাদা যেহেতু ঘোড়সওয়ারি জানেন, তাই তাঁকে নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রের। বরং ছবির নায়িকা শ্রাবন্তী শুটিং শুরুর আগে নিজেকে প্রস্তুত করে তোলার পর্বে যেভাবে তাঁকে মুহূর্মুহূ চমকে দিচ্ছেন, তাতে ‘মাস্টারমশাই’ হিসেবে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত শুভ্রজিৎ। শুধু উচ্ছ্বসিত বললে হয়তো একটু কমই বলা হয়, বরং গর্বিত। TV9 বাংলার তরফে শুভ্রজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁর পরিশ্রমী ‘ছাত্রী’কে দিয়েছেন লেটার মার্কস।
এই মুহূর্তে শুভ্রজিৎ ‘দেবী চৌধুরাণী’র প্রি-প্রোডাকশন নিয়েই ব্যস্ত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাসকে বড় পর্দায় নিয়ে আসার জন্য বিপুল প্রস্তুতি যে থাকবে, তা তো প্রত্যাশিতই। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, কিঞ্জল নন্দ-সহ আরও অনেকে। এই ছবির লোকেশন রেইকি থেকে শুরু করে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। এরই মাঝে TV9 বাংলার সঙ্গে শুভ্রজিৎ শেয়ার করে নিলেন ‘ছাত্রী’ শ্রাবন্তীর একনিষ্ঠতার কথা। ‘ছাত্রী’ হিসেবে শ্রাবন্তী কেমন, এই প্রশ্নের উত্তরে অকপট পরিচালক, “একজন ছাত্রী হিসেবে শ্রাবন্তীকে যদি নম্বর দিতে হয়, তাহলে ও লেটার মার্কসই পাবে।” সেই সঙ্গে শুভ্রজিতের সংযোজন, “শ্রাবন্তীর মধ্যে একটা স্বাভাবিক উৎসাহ বা এনার্জি রয়েছে। জীবনে ভরপুর একজন মানুষ শ্রাবন্তী। যার ফলে ওর এই প্রাণবন্ত ভাব শুটিং ফ্লোরের অন্যদের মধ্যেও সঞ্চারিত হবে।”
আগামী দিনে শুটিং ফ্লোরে নায়িকার এনার্জি নিয়ে আসা নিয়েই শুধু আশাবাদী নন শুভ্রজিৎ, টেনিং সেশন নিয়েও যথেষ্ট উত্তেজিত পরিচালক। তাঁর কথায়, “শ্রাবন্তীর এই এনার্জিটা ট্রেনিং সেশনেও দেখতে পাচ্ছি প্রতি মুহূর্তে। কিছুদিন আগে ঘোড়ায় চড়া প্র্যাকটিস করার সময় ওর ডেডিকেশন দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। এখন তলোয়ার চালনা প্রশিক্ষণের সময়ও একই নিয়মানুবর্তিতা দেখছি।” নিজের ‘ছাত্রী’র এই ডিসিপ্লিন দেখে ব্যক্তি শ্রাবন্তীকেই ধন্যবাদ জানালেন পরিচালক। বললেন, “আসলে একজন পজ়িটিভ মানুষ টিমে থাকলে সকলের মধ্যেই তার পজ়িটিভ প্রভাব পড়ে। আমি নিজেও পজ়িটিভ এনার্জির মানুষ। সেই কারণেই শ্রাবন্তীর সঙ্গে কাজ করতে আনন্দ পাচ্ছি। আমাদের জীবন সম্পর্কে ধারণাও অনেকটাই ওরই মতো। বাধা-বিপত্তি তো আসবেই, সেসব কাটিয়ে পাখির চোখ করে এগিয়ে যাওয়া আমাদের দু’জনেরই পছন্দ। তাই-ই শ্রাবন্তীকে ছাত্রী হিসেবে দশে দশ দেব।”
শুধু শ্রাবন্তীই নন, ছবির অন্যান্য় কলাকুশলীও খুব কঠিন পরিশ্রম করছেন প্রি-প্রোডাকশন পর্বে—শুভ্রজিতের মতে। “কিছুদিনের মধ্যেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও আমাদের ট্রেনিংয়ে অংশ নেবেন,” বলেছেন পরিচালক। ‘দেবী চৌধুরাণী’ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী শুভ্রজিৎ। আর কী বলছেন ‘মাস্টারমশাই’ শুভ্রজিতের ‘ছাত্রী’ শ্রাবন্তী? TV9 বাংলাকে নায়িকা বললেন, “আমার সারা জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা ‘দেবী চৌধুরাণী’। এই ছবির জন্য আমি তো উত্তেজিতই, আমার সঙ্গে সঙ্গে আমার শুভানুধ্যায়ী, ভক্তরাও ভীষণ উৎসাহিত। আমার সঙ্গে তাঁরাও অপেক্ষা করে আছেন কবে থেকে এই ছবির শুটিংএ শুরু হবে, কবে মুক্তি পাবে এই ছবি… সব কিছু সম্পর্কে।” কেন এতটা স্পেশ্যাল এই ছবি শ্রাবন্তীর কাছে? নায়িকার উত্তর, “এই ছবিটা অনেক কিছু ডিমান্ড করছে। যেমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো এই চরিত্রটার জন্য আমাকে নিজেকেই করতে হবে এবং সেগুলো আমি নিজেই করব। যেমন ঘোড়ায় চড়া, তলোয়ার চালনা এগুলো। আর এগুলো খুবই ইন্টারেস্টিং। আমি যদিও আগে এগুলো করিনি ,তাই এগুলো একদিকে যেমন ভীষণ মজার, আবার একটু ভয়ও পাচ্ছি। খুবই শক্ত কাজ, তবে আমি উপভোগ করছি।” নায়িকা TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, তিনি তলোয়ার চালানো শিখছেন প্রাজ্ঞর কাছে। এ প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বৃহস্পতিবার বলেছেন, “প্রাজ্ঞ এই কাজে খুবই দক্ষ। অত্য়ন্ত যত্ন নিয়ে এই ট্রেনিংটা ও দিচ্ছে প্রাজ্ঞ আমাকে। এটা তো আমার কাছে একদম নতুন বিষয়, তাই আমাকে হাতে ধরে-ধরে শেখাচ্ছে। দু’দিন মাত্র ট্রেনিং হয়েছে, বেশ শক্ত হলেও মজা পাচ্ছি। এই তলোয়ার চালানোটা শেখার ক্ষেত্রে আমি খুবই এক্সাইটেড। আশা করছি দর্শকদেরও ভাল লাগবে।”