AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মদ খেয়ে বেহুঁশ অপর্ণা, সামনে উত্তম এসে দাঁড়ালেন, তারপর…

উত্তম-অপর্ণা জুটি কিন্তু এখনও সিনেপ্রেমীদের মনে উজ্জ্বল। তাঁদের জুটি দর্শকদের মনে জায়গা করার সঙ্গে সঙ্গে বক্স অফিসেও তুমুল ঝড় তুলেছিল। এই জুটি প্রচুর সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে বাংলার দর্শকদের।

মদ খেয়ে বেহুঁশ অপর্ণা, সামনে উত্তম এসে দাঁড়ালেন, তারপর...
| Updated on: Aug 23, 2025 | 2:34 PM
Share

তিনি মহানায়ক। তাঁর বিপরীতে যে নায়িকারা অভিনয় করেছেন, তাঁরা বলেছেন, কতটা প্রফেশনালিজমে বিশ্বাস করতেন উত্তম। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীদের কীভাবে সম্মান করতে হয়, তা নাকি উত্তমের কাছে শেখা উচিত। তাই হয়তো উত্তম ম্যাজিকে কাবু হয়ে থাকতেন সুচিত্রা, সুপ্রিয়া, মাধবী, অপর্ণারা।

উত্তম-অপর্ণা জুটি কিন্তু এখনও সিনেপ্রেমীদের মনে উজ্জ্বল। তাঁদের জুটি দর্শকদের মনে জায়গা করার সঙ্গে সঙ্গে বক্স অফিসেও তুমুল ঝড় তুলেছিল। এই জুটি প্রচুর সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছে বাংলার দর্শকদের।

তা কেমন ছিল উত্তমের সঙ্গে একফ্রেমে কাজ করার অভিজ্ঞতা?

এক সাক্ষাৎকারে উত্তমকে নিয়ে বলতে গিয়ে অপর্ণা সেন বলেন, ”উত্তমবাবু আমাকে খুবই সম্মান করতেন। মনে আছে, অপরিচিত ছবিতে একটা দৃশ্য ছিল, যেখানে আমি মদ খেয়ে বেহুঁশ। হাতে একটা ব্যাগ ছিল। ব্যাগটা আমি নিচে রেখেছি। অতটা নেশা করে কী করে আমি ব্যাগটা নিই। আমার ভাবছিলাম ব্যাগটা ফেলে যাবো! পরিচালক বললেন, ওসব ব্য়াগ নিয়ে ভেবো না। আমি বললাম, মেয়েরা আর যাই হোক, ব্যাগ ভোলে না। সেই সময়ই উত্তম আসলেন, পুরো ব্যাপারটা শুনলেন। তারপর আমাকে বললেন, তুমি একটা কাজ করো, ব্যাগটা খুঁজতে থেকো। আমি জিজ্ঞেস করব, কী চাই, তখন ব্য়াগের কথা বোলো, আমি এগিয়ে দেবো। ”

এই প্রসঙ্গে, অপর্ণা আরও একটি দৃশ্যের কথা বলেন। ছবির নাম কলঙ্কিত নায়ক। এই ছবিতে কলগার্লের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অপর্ণাকে। অপর্ণা জানান, একটি দৃশ্য উত্তমের সঙ্গে বহুদিন পর আমার দেখা হচ্ছে। সেই দৃশ্যে পরিচালক আমাকে কাঁদতে বলেছিল। কিন্তু আমি তা রাজি হয়নি। উত্তম নিজেই থেকেই বলেন। তোমাকে কাঁদতে হবে না। বরং তুমি কথা বলতে বলতে, ঘুমিয়ে পড়বে। আর আমি কোলে তুলে নিয়ে তোমাকে অন্য ঘরে শুয়ে দেব। অপর্ণার কথায়, ঠিক এইভাবেই শুট হল। আর উত্তম কোলে তুলে নিলেন অপর্ণাকে। নিয়ে গেলেন অন্য ঘরে। অর্পনা জানিয়েছে, উত্তমের শরীরে দারুণ জোর ছিল। সহজেই আমাকে কোলে তুলে নিল! আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। লজ্জাও পেয়েছিলাম।

১৯৭০ সালে মুক্তি পায় উত্তম-অপর্ণার কলঙ্কিত নায়ক। ছবির পরিচালক সলিল দত্ত। অন্যদিকে ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় উত্তম-অপর্ণার অপরিচিত। দুটি ছবিই প্রশংসিত হয়েছিল।