AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ganesh Chaturthi: স্বপ্নে গণেশ পেয়েছিলেন উত্তম কুমার, নিজেই করতেন পুজো, গণেশ চতুর্থীতে কী কী হত ময়রাস্ট্রিটের বাড়িতে?

Ganesh Puja At Uttam Kumar's Place: গণেশ চতুর্থীর দিন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভিড় উপচে পড়ত মহানায়কের বাড়ির গণেশ পুজোতে। উত্তমের ঘনিষ্ঠরা তো বলে থাকেন, উত্তমই বাংলার প্রথম নায়ক, যার বাড়িতে ধুমধাম করে গণেশ পুজে হত। আর এই পুজোর নিয়ম কানুন উত্তম শিখে এসেছিলেন মুম্বই (বম্বে) থেকেই!

Ganesh Chaturthi: স্বপ্নে গণেশ পেয়েছিলেন উত্তম কুমার, নিজেই করতেন পুজো, গণেশ চতুর্থীতে কী কী হত ময়রাস্ট্রিটের বাড়িতে?
| Updated on: Aug 27, 2025 | 3:07 PM
Share

উত্তম কুমারের ভবানীপুরের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো খুবই জনপ্রিয়। জানা যায়, সেই লক্ষ্মীপুজোতে একসময় হাজির হতেন টলিউডের নামজাদারা। এমনকী, সেই লক্ষ্মীপুজোর কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়তেন খোদ মহানায়কও। কিন্তু খুব লোকই জানেন, ময়রাস্ট্রিটের বাড়িতে উত্তম কুমার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গণেশ মূর্তি। গণেশ চতুর্থীর দিন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভিড় উপচে পড়ত মহানায়কের বাড়ির গণেশ পুজোতে। উত্তমের ঘনিষ্ঠরা তো বলে থাকেন, উত্তমই বাংলার প্রথম নায়ক, যার বাড়িতে ধুমধাম করে গণেশ পুজে হত। আর এই পুজোর নিয়ম কানুন উত্তম শিখে এসেছিলেন মুম্বই (বম্বে) থেকেই!

বাংলা ছবির পাশাপাশি বেশ কয়েকটা হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন উত্তম কুমার। তবে মায়ানগরীতে খুব একটা সফল হননি তিনি। বরং ছোটি সি মুলাকাত ছবি তৈরি করে শুধু অভিনেতা হিসেবে নন, প্রযোজক হিসেবেও বিফলে গিয়েছিলেন উত্তম। তবে সেই সময়ই মুম্বইয়ে থাকার দরুণ, কাছ থেকে গণেশ উৎসবের আড়ম্বর দেখেছিলেন উত্তম। এমনকী, রাজ কাপুরের বাড়ির গণেশ পুজো নিমন্ত্রণে গিয়ে জমকালো গণেশ পুজো দেখে হতবাক হয়েছিলেন। অনেকে মনে করেন, উত্তমের গণেশ পুজোর রীতিনীতি শেখা মুম্বই থেকেই। তবে উত্তম কুমারের ঘনিষ্ঠদের ঝুলিতে রয়েছে অন্য এক গল্প।

সময়টা ছয়ের দশক। সবে সবে মুম্বই থেকে কলকাতায় ফিরেছেন উত্তম কুমার। একদিন ভোরে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে বসলেন উত্তম। ডেকে তুললেন সুপ্রিয়াকেও। উত্তম সেদিন জানিয়ে ছিলেন, তিনি স্বপ্নে গণেশ পুজো দেখেছেন। আর তাই ময়রাস্ট্রিটের বাড়িতে তাঁকে গণেশ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। যেমন স্বপ্ন, তেমন কাজ। ময়রাস্ট্রিটের বাড়ির ঠাকুর ঘরে গণেশ প্রতিষ্ঠা করলেন উত্তম। নাহ, কোনও পুরোহিত নয়, নিজেই করতে গণেশের নিত্যপুজো। হাওড়া ফুলবাজার থেকে রোজ গণেশের জন্য আসত পদ্মফুল, জুঁইফুলের মালা। এখানেই শেষ নয়, সতীশ ময়রার দোকান থেকে আসত বিশেষ মোদকও। জানা যায়, স্বপ্নেই দেখেছিলেন গণেশের সাজ। তাই মহানায়কের গণেশের রূপসজ্জায় ছিল বাঙালি ছাপ। যা কিনা একেবারেই নকল নয়, মহারাষ্ট্রের গণপতির মতো।

তবে গণেশ চতুর্থীর পুজোর আয়োজন ছিল, রোজকার পুজো থেকে একেবারেই আলাদা। যাকে বলে ধুমধাম করেই হত গণেশ পুজো। এদিনও পুজো করতেন উত্তম। গণেশের ভোগের জন্য রান্না করতেন সুপ্রিয়া। খিচুড়ি, লাবড়া, পোলাও, আলুর দম, ছানার ডালনা, চাটনি, মিষ্টি, সতীশ ময়রার বিশেষ মোদক, পায়েস থাকত খাবারের মেনুতে। আর সন্ধে হলেই বসত জলসা। যেখানে গান গাইতেন উত্তমও। সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতেই সেজে উঠতেন মহানায়ক। শোনা যায়, উত্তমের গণেশ পুজোর জলসায় একবার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তমের যুগলবন্দি দেখেছিল ইন্ডাস্ট্রি।