রেগে লাল শাহরুখ, বাদশাকে নিয়ে ঠাট্টার শাস্তি, মুহূর্তে আকাশ ভেঙে পড়ে
শাহরুখের নকল করে কত মানুষ মঞ্চে-মঞ্চে সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে শাহরুখ খান কি সত্যি এসব পছন্দ করেন? শাহরুখ খানের নকল মানেই অধিকাংশ মানুষ ক-ক-ক-ক কিরণ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন।

তিনি শাহরুখ খান, তিনি বলিউডের বাদশা। যদিও কেরিয়ারের শুরু থেকে তাঁর পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। একটা সময় তিনি স্থির করেই উঠতে পারতেন না, লিড রোলে অভিনয় করবেন নাকি ছবির ভিলেন হবেন। কারণ, সেই সময় সলমন খান ও আমির খান দু’জনেই হিরো হিসেবে দর্শকদের নজর কেড়েছেন। আর শাহরুখের ইমেজ তখন– ‘ক-ক-ক-কিরণ’। আজও এই সংলাপ সকলের মুখে মুখে ভাইরাল। যাঁর ওপর নির্ভর করে বহু মানুষ নিজের সংসার চালান।
শাহরুখের নকল করে কত মানুষ মঞ্চে-মঞ্চে সুনাম কুড়িয়েছেন। তবে শাহরুখ খান কি সত্যি এসব পছন্দ করেন? শাহরুখ খানের নকল মানেই অধিকাংশ মানুষ ক-ক-ক-ক কিরণ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। শাহরুখ খানের ‘ডর’ ছবি থেকে সর্বাধিক চর্চিত এই সংলাপ দিয়ে অনেকে আবার ব্যঙ্গও করেন অভিনেতাকে। তবে সত্যি কি শাহরুখ তা পছন্দ করেন?
একবার কপিল শর্মা শো-য়ে এসে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন শাহরুখ খান। হঠাৎই টক শোয়ের পক্ষ থেকে মঞ্চে উপস্থিত দুই ব্যক্তি শাহরুখ খানের নকল করতে শুরু করেন। আর মুহূর্তে ক-ক-ক-ক কিরণ বলতেই চিৎকার করে উঠেন শাহরুখ। গোটা শুট তখন থমকে। প্রতিবাদ জানিয়ে শাহরুখ বলেছিলেন, “এটা কী ইয়ার্কি হচ্ছে? আমরাও মানুষ, আমাদেরও খারাপ লাগে।” এখানেই শেষ করেন না কিং খান। উল্টে বলে বসেন, “দেব আনন্দ, অমিতাভ বচ্চন কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। শিল্পীদের সম্মান করতে হয়।”
এটা তো অপমান। কপিল শর্মা শাহরুখ খানকে বোঝাতে গেলে, তিনি উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন। পাশে বসে থাকা অভিষেক বচ্চনও সম্মতি জানান শাহরুখকে। শাহরুখ প্রশ্ন করে বসেন, “আমি কোথায় এভাবে সংলাপ বলেছি? আমার তো মনে পড়ে না।” এরপর সব চুপ। শাহরুখ খানকে এভাবে কেউ কখনও দেখেননি। পরিস্থিতি জটিল হতেই শাহরুখ হঠাৎই সবাইকে হেসে বলেন– তিনি মজা করছিলেন। তবে দর্শকদের মত, তিনি যা বলেছেন, সবটাই মন থেকে। তবে তিনি যে কত বড় অভিনেতা, সেই কয়েকমিনিটের থমথমে পরিস্থিতি তা প্রমাণ করে দিয়েছিল আরও একবার।
