High Cholesterol: কোনও কারণ ছাড়াই হৃদগতি বেড়ে যায়? এই ৫ লক্ষণই জানান দেয় হাই কোলেস্টেরলের

Cholesterol Symptoms: রক্ত পরীক্ষা না করালে কোলেস্টেরল যে বেড়েছে তা বোঝা বেশ কঠিন। কোলেস্টেরল বাড়লে তার লক্ষণ খুব একটা প্রকাশ পায় না। তবে, একেবারেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কোনও উপসর্গ নেই, এমনও নয়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের বহিরঙ্গেও তার প্রভাব দেখা যায়।

High Cholesterol: কোনও কারণ ছাড়াই হৃদগতি বেড়ে যায়? এই ৫ লক্ষণই জানান দেয় হাই কোলেস্টেরলের
Follow Us:
| Updated on: Jun 19, 2024 | 12:48 PM

প্রায় দিন বাইরে খাবার খেলে রক্তে জমে খারাপ কোলেস্টেরল। প্রথম দিকে অনেকেই বুঝতে পারেন না। কিন্তু এই কোলেস্টেরলের বাড়বাড়ন্ত থেকেই বাড়ে হৃদরগের ঝুঁকি। নিয়মিত রোল-চাউমিন, বিরিয়ানি, মোমো, পিৎজা, বার্গার, কেক, পেস্ট্রির মতো খাবার খেলে রক্তে নিঃশব্দে বেড়ে চলে কোলেস্টেরল। বাইরের খাবার খেয়ে সামান্য গ্যাস-অম্বল হলে অ্যান্টাসিড খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায় না। তার চেয়েও বড় সমস্যা হল কোলেস্টেরল বাড়লে তার ভ্রূক্ষেপ থাকে না।

রক্ত পরীক্ষা না করালে কোলেস্টেরল যে বেড়েছে তা বোঝা বেশ কঠিন। কোলেস্টেরল বাড়লে তার লক্ষণ খুব একটা প্রকাশ পায় না। তবে, একেবারেই কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কোনও উপসর্গ নেই, এমনও নয়। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শরীরের বহিরঙ্গেও তার প্রভাব দেখা যায়। সেই লক্ষণগুলো চিনে রাখলে সহজেই ধরা পড়ে কোলেস্টেরল।

১) চোখের নীচে বা চোখের পাতায় সাদা বা হলদেটে ফোলা অংশ হল কোলেস্টেরলের লক্ষণ। এই ফোলা অংশে কোনও ব্যথা থাকে না। কিন্তু চোখের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। চোখের মণির চারপাশে ধূসর রঙের কোনও গোল দাগ দেখা গেলেও সচেতন থাকবেন।

এই খবরটিও পড়ুন

২) কয়েক দিন ধরে টানা বুকে ব্যথা হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই বুকটা চিনচিন করে উঠছে। প্রাথমিক ভাবে ইসিজি করিয়েছেন, কিন্তু হার্টের অসুখ ধরা পড়েনি। একবার কোলেস্টেরলের যাচাই করে নিন। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে রক্তনালিতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। তখনই হৃদযন্ত্রের উপর চাপ পড়ে।

৩) ঘাড় ও মস্তিষ্কের পিছনে মাঝে মাঝেই ব্যথা হয়? এটাও কিন্তু কোলেস্টেরলের লক্ষণ। রক্তে কোলেস্টেরল জমলে মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। এর জেরেই ঘাড় ও মাথার পিছনে যন্ত্রণা হতে থাকে।

৪) সিড়িঁ দিয়ে ওঠানামা করার সময় হাঁপিয়ে যান। একটু জোরে হাঁটলেই জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে হয়। কোনও কারণ ছাড়াই হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এগুলোও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।

৫) পায়ের পাতা, নিতম্ব, থাই ও ঊরুর পেশিতে টান বা খিঁচুনি ধরা। হাঁটতে গেলে পায়ে ব্যথা পাওয়া, পায়ের পাতা নীলচে হয়ে যাওয়া বা গরম হয়ে যাওয়া কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণ। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ধমনীগুলির ভিতর ফ্যাটের আস্তরণ তৈরি হয় এবং রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। এতে দেহের নীচের অংশের উপর প্রভাব পড়ে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা হয়।