Crying For No Reason: কেঁদে-কেটেই বিশ্বজয়! এমন অকারণ কান্নার নেপথ্য কারণ জানেন কি?
Crying And Mental Health: সব কান্নার পিছনেই একটা কারণ থাকে। কারণ ছাড়া কেউ কান্নাকাটি করে না। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা তা বুঝতে পারি না
হলফ করেই বলা যায় আমাদের প্রত্যেকেরই চারপাশে এমন কিছু চেনা মানুষ আছেন, যাঁরা কথায়-কথায় কেঁদে ফেলতে পারেন। কারণ ছাড়াই কেঁদে-কেটে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করে দেন। এঁদের কেউ বলে ন্যাকা, কেউ ছিঁচকাঁদুনে। কিন্তু কেন তাঁরা এমনটা করেন, ভেবে দেখেছেন কি? অনেক সময়ই হয়ত মনে হতে পরে সহজে কিছু পেতে বা বাকিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তাঁরা এমন আচরণ করছেন। এই ধারণা যে পুরোপুরি ভুল, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় বাচ্চারাও কোনও কারণ ছাড়াই কাঁদে। অনেকের মনে হতে পারে যে এটা বাচ্চাদের জন্য স্বাভাবিক ঘটনা। আশপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে একরকম নিরাপত্তার অভাব বোধ করে। যে কারণে তারা কান্নাকাটি করে। তবে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু এ কথা বলছেন না। তাঁদের মতে সব কান্নার পিছনেই একটা কারণ থাকে। কারণ ছাড়া কেউ কান্নাকাটি করে না। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা তা বুঝতে পারি না। কিন্তু কেন কারণ ছাড়াই কান্নাকটি করেন মেয়েরা, জানেন কি?
নিজেরাও তা জানেন না
অনেক সময় কাজ করতে-করতে হঠাৎ চোখে জলের ধারা। ছেলেদের মধ্যে দেখা গেলেও এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে সবচাইতে বেশি। কেন তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়ছে, কেনই বা তিনি কাঁদছেন তা তাঁর নিজেরও জানা নেই। দুঃখে কাঁদছেন? এমনটা কিন্তু নয়। ভেতরে-ভেতরে তাঁদের মধ্যে স্ট্রেস চলছে, যা নিজেরাও উপলব্ধি করতে পারেন না। অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকেই খুব তুচ্ছ ঘটনায় তাঁরা কেঁদে ফেলেন। কান্না হল স্ট্রেস থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়। ভেতরে দুঃখ-কষ্ট হলে তা চেপে না রেখে কেঁদে ফেলা ভাল, কিন্তু এই কান্না অভ্যাসে পরিণত করবেন না।
ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন
অনেকেই ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভোগেন। তবে বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই। কারণ এই ডিপ্রেশন পুরোপুরি তাঁর নিজের তৈরি। বাইরে থেকে জোর করে ভাল দেখাতে চান। তবে এই ডিপ্রেশনের প্রধান লক্ষণ হল মুড স্যুইং এবং অকারণ বিষন্নতা। কখনও খুব রাগও হতে পারে। যেখান থেকে কিন্তু এই ডিপ্রেশন আসে।
অত্যধিক নার্ভাস
এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁদের মধ্যে বিন্দুমাত্রও আত্মবিশ্বাস নেই। যে কোনও কিছুতেই তাঁরা নার্ভাস থাকেন। আসন্ন বিপদ বা পূর্ব বিপদের কথা ভেবে কান্নাকাটি করেন। এমন মানুষদের থেকেও কিন্তু সাবধানে থাকতে হবে। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা জনসংযোগ করতে না পেরে কাঁদেন। মনে হয় যে কেউই তাঁকে পাত্তা দিচ্ছে না।
প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম
পিরিয়ডের আগে মেয়েদের একাধিক সমস্যা হয়। হঠাৎ রেগে যাওয়া, ক্লান্তি, অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে যাওয়া, ডিপ্রেশন, হঠাৎ কান্না… সবকিছুই থাকে এর মধ্যে। এই রাগ বা হতাশার কারণ যে মেন্সট্রুয়েশন, অনেক মেয়েই কিন্তু তা বুঝতে পারেন না। হঠাৎ করেই শরীরে ফোলাভাব, মাথাব্যথা, রাগ-কান্না কিন্তু পিএমএসের-লক্ষণ।
মানসিক অসুস্থতা
এই হঠাৎ কান্নার একটা কারণ হল মানসিক অসুস্থতা। কিছু মানুষ এমন আছেন যাঁরা সব সময় চান সবাই তাঁদেরই নজর দিক। অন্যের ভাল এঁরা দেখতে পারেন না। নিজের পছন্দের জিনিস পেতে এবং বাকিদের ব্যতিব্যস্ত করে তুলতেই এঁরা সচেষ্ট থাকেন। সোজা কথায় নিজের কাজ হাসিল করতেই এঁরা কেঁদে ফেলেন।