Air pollution: বাড়ছে বায়ুদূষণ, বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ক্রমশই জটিল হচ্ছে শিশুদের
Child health: বায়ুদূষণের প্রভাবে অনেক রকম সমস্যাই বাড়ছে। তার মধ্যে জটিল হচ্ছে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যে কারণে তাদের মধ্যে রোগের প্রকোপ অনেকটাই বেশি
বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে দূষণ। আর এই দূষণের মধ্যে বায়ু দূষণের প্রভাব কিন্তু সবচেয়ে বেশি। ত্বক থেকে অ্যালার্জির সমস্যা- সব কিছুর জন্যই কিন্তু দায়ী এই দূষণ। শীতে এই বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি। ধোঁয়াশাও বেশি হয়। আর এই সব কারণের জন্যই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা কিন্তু বেশি চেপে বসে। সেই সঙ্গে রয়েছে করোনার দাপট। নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। আর যার প্রভাব বাচ্চাদের শরীরের উপর সবচেয়ে বেশি। ওমিক্রনে বড়দের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাই। যদিও এখনও পর্যন্ত যে কয়েকজন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে তাঁদের প্রত্যেকেই মৃদু উপসর্গযুক্ত। হালকা জ্বর, সর্দি-কাশির বাইরে অন্য কোনও সমস্যা ছিল না।
এছাড়াও শীতে রোগের প্রকোপ যেমন বাড়ে তেমনই কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর েই দূষণের প্রভাব কিন্তু শিশুদের উপর অনেক বেশি। যে কারণে আজকাল খুব কম বয়স থেকেই বাচ্চাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা। এমনকী অনেককে ইনহেলারও নিতে হচ্ছে। এছাড়াও বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম (immune systems aren’t fully developed)। সেই সঙ্গে শিশুদের ফুসফুসের গঠনও সম্পূর্ণ হয় না এই বয়সে। এসব কারণে দূষণের প্রভাব যেমন তাদের উপর সবচেয়ে বেশি তেমনই কিন্তু চেপে বসে নানা রকম সমস্যা। যেমন
*শহর এবং শহরতলিতে বায়ুদূষণ যে ভাবে বেড়েছে তা সরাসরি থাবা বসাচ্ছে শিশুদের ফুসফুসের উপর। অনেকেরই ফুসফুসের সঠিক গঠন হচ্ছে না। সেই সঙ্গে অ্যালভিওলাইয়ের গঠনেও বাধা পাচ্ছে।
*বায়ুদূষণের ফলে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট এখন প্রায় সারা বছরই লেগে থাকে। এই সমস্যা দীর্ঘদিন থেকে গেলে তা কিন্তু যথেষ্ট ভয়েরই ইঙ্গিত দেয়।
*বায়ুদূষণের প্রভাবে শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা। নানা রকম হৃদরোগ অনেক বেশি প্রকট হয়ে উঠছে।
*সিস্টিক ফাইব্রোসিস- শহরের শিশুদের মধ্যে ক্রমশই বাড়ছে এই সমস্যা। রোগটি জিনগত, কিন্তু বায়ুদূষণের প্রভাবে সেই সমস্য়া এখন অনেক বেশি জটিল হয়েছে। শ্বাসের মাধ্যমে দূষিত বায়ু শরীরে প্রবেশ করলে কিংবা দীর্ঘদিন কোনও রাসায়নিক কিংবা গ্যাসের সংস্পর্শে থাকলে এই সমস্যা আসবেই।
*এছাড়াও আজকাল বাচ্চাদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব খুবই প্রকট। শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ বাচ্চাই ছোট থেকে পর্যাপ্ত রোদ পায় না। ফলে প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ভিটামিন ডি কম তৈরি হয়। এছাড়াও সকলেই যে খাঁটি খাবার পায় তাও নয়। খাবারের মধ্যে ভেজাল থাকে অনেকটাই। যার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন গড়ে ওঠে না তেমনই অভাব হয় পুষ্টির।
*খুব ছোট থেকেই বাচ্চাদের ফাস্ট ফুডের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মা-বাবারা। চিপস, কোল্ডড্রিংক, চকোলেট এসব খাওয়া লেগেই থাকে। এসব ছাড়াও বাইরের খাবার তো আছেই। যার ফলে বাড়ির রান্না করা খাবার ছোটরা খেতেই চায় না। সেই সঙ্গে অনেক বাচ্চাই ফল, শাকসবজি খায় না। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও অনেক বেশি।
*আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ছোট থেকে বড় সকলেই এখন কাবু হয়ে পড়ছে। এই সময়টা সকলকেই সাবধানে থাকতে হবে। কখনও ঠান্ডা কখনও গরমে ঠান্ডা বেশি বসে। সেই কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: Weight loss: ওজন কমানোর জন্য নানা রকম কসরত তো করছেন, কিন্তু এই ভুলগুলি হচ্ছে না তো!