Headaches: কাজের চাপ বাড়লেই মাথাধরা শুরু হয়? এইসব ঘরোয়া উপায় মেনে চললে মিলবে চটপট মুক্তি!

মাথাধরা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে বসেই সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন আপনিই। ঘরোয়া উপায়ে মাথা যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে কী কী করবেন, তা দেখে নিন...

Headaches: কাজের চাপ বাড়লেই মাথাধরা শুরু হয়? এইসব ঘরোয়া উপায় মেনে চললে মিলবে চটপট মুক্তি!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2021 | 9:36 AM

টানা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের সামনে একবাবে তাকিয়ে থাকলে, মানসিক চাপ বাড়লে কিংবা সামান্য জ্বর-সর্দি হলেই মাথার দুপাশে, ঘাড়, পিঠ জুড়ে তীব্র ব্যথা শুরু হয়ে যায়। মাইগ্রেন বা সাইনাসের সমস্যা না থাকলেও এই রকম মাথার যন্ত্রণার শিকার হন অধিকাংশই। এই ধরণের সমস্যা শরীরের কোনও অসুবিধার ইঙ্গিত বহন করে, তাই সমস্যা বাড়তে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

মাথা ধরা বা মাথা যন্ত্রণা শুরু হলে বাড়িতেই এর সমস্যা দূর করতে পারবেন। এই মাথাধরার কারণ হল শরীরের কোনও সমস্যার জন্য আপনার মস্তিষ্ক সেই ইঙ্গিতই দিয়ে চলেছে। শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে, মানসিক চাপ বাড়লে, অত্যাধিক পরিমাণে পরিশ্রম করলে মাথার দুমাশে রগরগে ব্যথা অনুভব হয়। আর এটি শরীরের জন্য অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বটে। ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়ায় শরীরে প্রবেশ করলে মাথা ঝিমঝিম,এগুলি হল মাথা ধরার উপসর্গ।

মাথাধরা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে বসেই সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন আপনিই। ঘরোয়া উপায়ে মাথা যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে কী কী করবেন, তা দেখে নিন…

আরও পড়ুন: দাঁতের মাড়িতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতর? রইল সহজ ঘরোয়া ম্যাজিক

মাসাজ- মাথায়, ঘাড়ে যদি যন্ত্রণা বাড়তে থাকে, তাহলে একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই হল মাসাজ। এর মতো ঘরোয়া উপায় আর কিছু থাকতে পারে না। পরিবারের কাউকে বা বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে মাথার তালুতে ও দুপাশে সারকুলার মোশনে মাসাজ করতে বলুন। বেশিক্ষণ নয়, ৫-৮ মিনিট এইভাবে করলে মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত।

স্নান করুন- সাইনাসের কারণে বা টেনশন থেকে মুক্তি পেতে হট শাওয়ার বা গরম জলে স্নান করলে দারুণ আরাম পাওয়া যায়। স্নান করলে শরীর ঠান্ডা হয়, মন শান্ত হয়। স্ট্রেসের কারণে মাথা যন্ত্রণা শুরু হলে অনেকেই এই সহজ পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। আরও ভাল ফল পেতে স্নানের গরম জলের মধ্যে ল্যাভেন্ডার তেল কয়েক ফোঁটা দিয়ে দিতে পারেন।

রিল্যাক্স- টেনশন, আতঙ্ক, উদ্বেগের কারণে মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। এই সময় আরাম পেতে সামান্য রিল্যাক্স করুন। কিথুক্ষণ পর দেখবেন মাথাধরা ভ্যানিস হয়ে গিয়েছে। মেলোডি গান, বই পড়া কিংবা মেডিটেশন করলে মাথা ধরা থেকে সহজেই মুক্তি মেলে।

অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন- অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করলে হ্যাংওভারের কারণে মাথা ঝিমঝিম করা শুরু হয়। এমনটা হলে, তাহলে অবিলম্বে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন। মাথা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর পরিমাণে জল খান। মদ্যপান করার সময় মাঝে মাঝে পানীয় জল খান, দেখবেন হ্যাংওভারের পর মাথা ধরার মতো মারাত্মক সমস্যা আর থাকবে না।

প্রচুর পরিমাণ জল খান- হ্যাংওভারের কারণ হল ডিহাইড্রেশন। ডিহাইড্রেশন আর অ্যালকোহল, দুটির কারণে মাথা যন্ত্রমা শুরু হতে পারে। এর সহজ ও একমাত্র সমাধান হল প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। নিয়মিত আট থেকে দশ গ্রাস জল খেলে শরীরে জলের মাত্রা সঠিক থাকে, আর্দ্রও থাকে।

আরও পড়ুন: ওজন ঝরাতে রোজ দরকার স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট!

স্ক্রিনে তাকানোর সীমা বেঁধে দিন– প্রতিদিন ১০-১২ ঘন্টা করে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি , ল্যাপটপের মধ্যে মাথা গুঁজে থাকলে মাথা যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। এর কারণে শুধু মাথাতেই নয় চোখের উপরও দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। চোখের উপর চাপ তৈরি হলে স্বাভাবিক ভাবেই মাথা ধরে যায় এই মাথা ধরার সমস্যা এড়াতে স্ক্রিনে চোখ রাখার সীমা বেঁধে দিন টানা কয়েক ঘন্টা কাজ করার পর চোখকে আরাপ দিতে কিছুক্ষণের জন্য ব্রেক নিন। চোখের উপর চাপের বোঝাও অনেকটা কমে যাবে।

ভাল করে ঘুমান- ইনসোমানিয়া বা ফ্যাটিগ থাকলে মাথা যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। এই দুইয়ের থেকে রেহাই পেতে রাতে ভাল ও গভীর ঘুমান। প্রতি রাতে ৮ ঘণ্টা করে ঘুমান। ভাল ঘুম না হলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন নাণ কাজের ফাঁকে বা দিনের একটি সময় মাথা ও শরীর সুস্থ রাখতে ন্যাপ দিতে পারেন।