AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ডায়াবেটিসেও মন ভরে খেতে পারবেন আম? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

ডায়াবেটিস এখন সারা বিশ্বে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগ না সারলেও নিয়ন্ত্রণ থাকে মানুষের হাতেই। ডায়াবেটিস হলে মানুষের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিসেও মন ভরে খেতে পারবেন আম? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: Apr 06, 2021 | 12:55 PM
Share

দীপ্তা দাস

‘ফলের রাজা’ আম খেতে কে না ভালবাসে। গরমকাল মানেই আমের মরসুম। তবে অন্যান্যদের আনন্দের কারণ হলেও মনখারাপ থাকে সুগারের (Diabetes) রোগীদের। আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ডায়েট্রি ফাইবার, ফ্যাট, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাঙ্গানিজ। আমে যথেষ্ট শর্করাও আছে। তাই আমের প্রতি দুর্বলতা থাকলেও একটুকরো চেখে দেখতে পারেন না ডায়াবেটিক রোগীরা (Diabetic Patient)। কিন্তু চিকিত্‍সকরা বলছেন, ডায়াবেটিকরা মন ভরে আম খেতে পারেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। সুগারের রোগীরা আম ( Mangoes) খেতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর রাণা ভট্টাচার্য যে যে পরামর্শ দিয়েছেন,  সেগুলি একঝলকে দেখে নিন একবার…

ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা কি আম খেতে পারেন?

-কেন পারবে না!  অন্যান্য ফলের মতো আমও খেতে পারবেন সুগারের রোগীরা।কিন্তু অন্য ফলের তুলনায় আমে ক্যালোরি একটু বেশি থাকে। আমে যে পরিমাণে গ্লুকোজ থাকে তা খুব তাড়াতাড়ি খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে। ফলে আম খাওয়ার পর শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। তবে সেই কারণে যে একেবারেই আম খাওয়া চলবে না তা কিন্তু নয়।

আম খেলে দিনে কতটা খেতে পারবেন একজন সুগারের রোগী ?

– সাধারণত পরিমাণে কম আম খাওয়াই ভাল। উদাহরণ হিসেবে বলাই যায় যে, দিনে হয়তো একটি আমের একটা চাকলা বা স্লাইস খাওয়া যেতে পারে।খুব ভাল হয় যদি দুটি খাবারের মাঝে আম খাওয়া যায়। মানে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝখানে অথবা লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে খাওয়া যায়। অর্থাত্‍ সকালে ও সন্ধের টিফিনে আমের একটি টুকরো খেতে পারেন। তবে কোনও খাবারের সঙ্গে না খাওয়াই ভাল। পাশাপাশি ওজন ও রোগীর সুগার কন্ট্রোল কতটা রয়েছে, সেই বুঝে খাদ্যতালিকায় আম রাখা যেতে পারে।

টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসে (type 2 diabetes) আক্রান্তরা কী আম খেতে পারেন?

– শরীরের ওজনের (body weight) উপরই পুরো ডায়েটের পরিমাপ লুকিয়ে রয়েছে। টাইপ ১ ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে অনেকেই যেমন ইনসুলিনের ডোজ হেরফের করতে পারেন, তাই আমের একটা স্লাইস তাঁরা চেখে দেখতেই পারেন। তবে কার কত ওজন, কত সুগার কন্ট্রোল রয়েছে তা দেখেই আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাঁদের ওজন কম হয়, তাঁদের ক্যালোরি বাড়ানোর জন্য আম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যাঁরা মধুমেহ রোগী আবার ওজনও বেশি, তাঁদের আম চোখে দেখেই মন ভরাতে হতে পারে। তবে প্রত্যেক মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্যদের থেকে একেবারেই আলাদা। তাই আম খাওয়ার পরিমাণও মানুষের শরীরের গঠন অনুযায়ী খাওয়াই ভাল।