বরফ ঠান্ডা জলে ১০ মিনিট ডুবে থাকলে ওজন কমে যায়! কতটা সত্যি?

ঠান্ডা জলের থেরাপিতে যদি ওজন কমে তাহলে এর জন্য দরকার যথেষ্ট গবেষণা। কিছু গবেষনায় দেখা গিয়েছে, ঠান্ডা জলের এই পদ্ধতিত বিপাকের হার দ্রুত হয়ে যায়। আর সেই দ্রুততার কারণে দেহে শক্তি ও ক্যালোরি ক্ষয় হয়।

বরফ ঠান্ডা জলে ১০ মিনিট ডুবে থাকলে ওজন কমে যায়! কতটা সত্যি?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2021 | 4:32 PM

ঠান্ডা জলে স্নান করলে ক্যালোরি বার্ন হয়? মানে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমে যায়!স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা জলের প্রবাবে শরীরে ক্যালোরি বার্নের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তবে এই দাবি পিছনে কতটা সত্যতা আছে, সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

তবে ঠান্ডা জলের থেরাপিতে যদি ওজন কমে তাহলে এর জন্য দরকার যথেষ্ট গবেষণা। কিছু গবেষনায় দেখা গিয়েছে, ঠান্ডা জলের এই পদ্ধতিত বিপাকের হার দ্রুত হয়ে যায়। আর সেই দ্রুততার কারণে দেহে শক্তি ও ক্যালোরি ক্ষয় হয়।

প্রসহ্গত, কোরিয়ান মহিলাদের একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ দেওয়া যায়, যাঁর প্রজন্মের পর প্রজন্ম জেজু দ্বীপের বরফ ঠান্ডা জলে সি-ফুডের জন্য ডুব দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন। আধুনিকযুগে সেটি একটু পরিবর্তন হয়েছে, সুতির স্নানের স্যুট পরে ১০-২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার জলে নামেন মহিলারা।

তবে গবেষণায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই কোরিয়ান মহিলাদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে,গ্রীষ্মকালের থেকে শীতকালে তাঁদের শরীরের বিপাকের হার তুলনামূলক বেশি ছিল। তাহলে কী এটা প্রমাণিত হল যে, বরফ ঠান্ডা জলে স্নান বা ঝরনায় গা ভেজালে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরে স্লিম হয়ে যাবেন? এর কারমে ওজন হ্রাস পাবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, একটি বিশাল সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বরফ ঠাণ্ডা জলে স্নানের পর ওজন হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ দেখা গিয়েছে ।

কোল্ড ওয়াটার থেরাপি করবেন কীভাবে

ঠান্ডা জলের থেরাপির রয়েছে নানা গুণাবলী। কীভাবে করবেন তা জেনে নিন এখানে…

– গরম-ঠান্ডা জলে শাওয়ার নিন। প্রথমে গরম জল , কয়েকমিনিট পর ফের ঠান্ডা জল, এইভাবে কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর গরম-ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে পারেন।

– গরম জল ছাড়াই একেবারে ঠান্ডা জল গায়ে ঢালুন। খুব ভাল হয় যদি ওয়ার্কআউটের পর এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে বেশ কার্যকরী হবেন।

– আইস বাথের কথা অনেকেই শুনেছেন। ১০-১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার জলে ১০-১৫ মিনিট ধরে আইস বাথ নিন। মানে বরফ দেওয়া জলে ১৫ মিনিট ডুবে থাকুন। ২০১৭ সালের একটি স্টাডিতে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আইস বাথ নেওয়া নিজের বিপদ ডেকে আনার সমান।

– কনকনে ঠান্ডা জলে কিছুক্ষণ সাঁতার কেটে আসুন।

– কোল্ড ওয়াটার থেরাপির আগে অবশ্যই নিজের ব্লাড প্রেসার, হার্ট রেট, ব্লাড সঞ্চালন কেমন চলছে তা একবার পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ নিজের বুদ্ধিতে এই থেরাপি নিতে গিয়ে বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। তাই এই ঝুঁকি নেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ বাধ্যতামূলক।

আরও পড়ুন: Stiff Neck: একটানা কাজ করার পর হঠাৎ ঘাড় শক্ত হলে কী কী করবেন?