Diabetes Diet: এক চামচ মধুতে কি বেড়ে যাবে মধুমেহ রোগ? জানুন কী বলছে গবেষণা

Honey: স্বাস্থ্যে মধুর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু যখন প্রসঙ্গ আসে ডায়াবেটিসের, একটাই প্রশ্ন জাগে মনে। ডায়াবেটিসের রোগীদের কি মধু খাওয়া উচিত?

Diabetes Diet: এক চামচ মধুতে কি বেড়ে যাবে মধুমেহ রোগ? জানুন কী বলছে গবেষণা
ডায়াবেটিসে মধু খাওয়া কি নিরাপদ?Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 7:44 AM

স্বাস্থ্যে মধুর জুড়ি মেলা ভার। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মধুর অবদান অনেক। এমনকি আয়ুর্বেদেও এই উপাদানটি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু যখন প্রসঙ্গ আসে ডায়াবেটিসের, একটাই প্রশ্ন জাগে মনে। ডায়াবেটিসের রোগীদের কি মধু খাওয়া উচিত? এতে কি বেড়ে যেতে পারে রক্তে শর্করার পরিমাণ? আজকে আপনার মনে থাকা এই দ্বন্ধ পরিষ্কার করব আমরা। বর্তমানে নীরব ঘাতকের মতো জীবনে থাবা বসাচ্ছে ডায়াবেটিস (Diabetes)। যে কোনও বয়সের ব্যক্তিই এখন আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়াবিটিসে। যদিও ছোটরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, যেখানে শরীর নিজে থেকে ইনসুলিন উৎপাদন তৈরি করতে পারে না। অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা। যে প্রকারই ডায়াবেটিস হোক না কেন, পরিশোধিত চিনিযুক্ত খাবার কারোর শরীরের পক্ষেই ভাল নয়। এর চেয়ে মধু অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই ক্ষেত্রে মধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও একইভাবে স্বাস্থ্যকর কি না, সেটা জানা জরুরি।

এক চামচ মধুর মধ্যে ৩৮ শতাংশ ফ্রুকটোজ, ৩১ শতাংশ গ্লুকোজ, ১৭ শতাংশ জল, ৭ শতাংশ ম্যালটোজ এবং ৪ শতাংশ শর্করা থাকে। কিন্তু রেচন প্রক্রিয়ার শেষে ৪ শতাংশ শর্করাও গ্লুকোজে পরিণত হয়। অন্যদিকে, এই এক চামচ মধুতে রয়েছে ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট আর ৫৪ ক্যালোরি। এছাড়াও মধুতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তুলনা করতে গেলে চিনির থেকে মধু সব সময় স্বাস্থ্যকর। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা।

ডায়াবেটিস রোগীদের পরিশোধিত চিনিযুক্ত খাবার ছুঁয়েও দেখা উচিত নয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা বলে ডায়াবেটিস রোগীরা ইচ্ছামতো মধু খাবেন, একদম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিশোধিত চিনির বদলে স্বল্প পরিমাণ খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের খুব একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে চলতে। আপনাকে যদি নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয় তা হলে বুঝে শুনে মধু খাবেন। অন্যদিকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। যদিও অনেক সময় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য চিকিৎসকেরা ডায়াবেটিস রোগীদের মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন কিন্তু সীমিত পরিমাণে।

বেশ কিছু গবেষণায় যে ফল পাওয়া গিয়েছে, তাতেও খুব একটা নিশ্চিন্তে যে বসা যায় তা নয়। প্রাণী ও মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস ও মধু নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে এবং এগুলি মিশ্র ফল দেয়। তাই শেষ অবধি এটাই বলা যায় যে, ডায়াবেটিসে মধু খেলে সীমিত পরিমাণে খান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।