Diabetes Problem: কেন হঠাৎ বেড়ে যায় সুগার লেভেল? কারণ শুনলে চমকে যাবেন
Diabetes Cause: আজকাল মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যার ফলে দেখা দিচ্ছে একাধিক সমস্যা। সুস্থ থাকতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে কী ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়, তা সম্পর্কে কমবেশি সকলেই অবগত। বিশেষ করে যাঁরা ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত, মাঝে মধ্যেই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গিয়ে নানান সমস্যায় পড়তে হয়। শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিক (Diabetic) ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও হঠাৎ রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। হাজার বিধি-নিষেধ মেনেও বেড়েই চলে সুগার। গবেষণা বলছে ৮০ মিলিয়ন ভারতীয় (Indian) ডায়াবেটিসের সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন একাধিক কারণে শরীরের সুগারের তারতম্য ঘটতে পারে। কী-কী কারণে এমনটা হয়? জানুন…
ডিহাইড্রেশন: সহজ ভাষায় শরীরে জলের অভাবকেই ডিহাইড্রেশন বলা হয়। জলের অভাবে শরীর শুকিয়ে গিয়ে আর্দ্রতা হারায়। যার ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের সমস্য়া।
নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া: রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে বেসি হলেই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কর্মব্যস্ত জীবনে ও নানান কারণে অনেকেই নিয়ম করে ওষুধ খেতে ভুলে যান। আর এতেই বাড়ে বিপদ। নিয়মিত সুগারের ওষুধ না খেলেই হঠাই সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। আরও একটি কারণ রয়েছে। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেয়েও যদি দেখেন নিয়ন্ত্রণে নেই সুগার, তবে অবশ্য়ই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। কারণ হতে পারে ওষুধের ডোজ়ের মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন এসেছে।
অন্যান্য় ওষুধ গ্রহণ: ডায়াবেটিসের পাশাপাশি শরীরের জন্য আরও অন্যান্য় ওষুধ খেতে হয় অনেককেই। এগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলেও বাড়তে পারে সুগার। বিশেষ করে ক্ষতিকারক স্টেরওয়েড যুক্ত ওষুধ সেবন, হঠাৎ সুগার বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ।
মানসিক চাপ: বর্তমানে কাজের চাপ ও বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্য়ে বাড়ছে মানসিক চাপ। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় প্রমানিত, মানসিক চাপের ফলে শরীরে হরমোন ক্ষরণে তারতম্য ঘটে। এছাড়াও গবেষণা বলছে সুগারের সঙ্গেও এই মানসিক চাপের যোগ রয়েছে। অত্যধিক চাপের ফলে রক্তে বাড়তে পারে শর্করার পরিমাণ।
কম ঘুম: আজকাল মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যার ফলে দেখা দিচ্ছে একাধিক সমস্যা। সুস্থ থাকতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মাঝরাত পর্যন্ত জেগে থাকলে অনেকসময়ই ব্য়াহত হয় পর্যাপ্ত ঘুম। আর এই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের অভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে সুগারের মাত্রাও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
