AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

COVID Third Wave: অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘আর ভ্যালু’ পৌঁছালো ১.১৭-তে! কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ?

আর-এর মান যদি ১-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এর অর্থ হল প্রতিটি রাউন্ডে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থাকে মহামারী পর্যায় বলা হয়। অন্য কথায়, এটিকে বলে যে কীভাবে দক্ষতার সাথে একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

COVID Third Wave: অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে 'আর ভ্যালু' পৌঁছালো ১.১৭-তে! কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ?
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 12:30 PM
Share

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জবজীবন। তার মধ্যেই আশঙ্কা তৈরি হয়ে গেছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের। অক্টোবর মাসে আসতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। তার মধ্যেই চিন্তা তৈরি করছে আর ভ্যালু। ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সেস চেন্নাইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, অগস্টের শেষ সপ্তাহে বিশেষত ১৪ থেকে ১৭ অগস্টের মধ্যে আর ভ্যালু ০.৮৯ থেকে ১.১৭ এ উন্নীত হয়েছে।

গবেষণা টিমের শীর্ষক সিতাভদ্র সিনহা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, এই আর মান শুধুমাত্র একটির থেকে বড় নয়, বরং আগের তুলনায় অনেক ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। তিনি জানান যে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় এই মান ছিল ১.০৩। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাবে কেরালা এবং মহারাষ্ট্র, এমনকি মিজোরাম এবং জম্মু ও কাশ্মীরেরও এই মান ১ ছাপিয়ে যায়।

এই প্রজনন সংখ্যা বা আর মান বোঝায় যে একটি সংক্রমণ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যখন একটি ঢেউ শীর্ষে থাকে, তখন এটা স্পষ্ট হয় যে ভাইরাসটি দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু যখন ঢেউ কমতে শুরু করে, তখন আর ভ্যালুর সামান্য বৃদ্ধি আবার ঢেউয়ের আসন্ন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নির্দেশ করতে পারে।

এই আর-এর মান যদি ১-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এর অর্থ হল প্রতিটি রাউন্ডে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থাকে মহামারী পর্যায় বলা হয়। অন্য কথায়, এটিকে বলে যে কীভাবে দক্ষতার সাথে একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।

অগস্টের মাসের এই আর ভ্যালু ১-এর বেশি মান ধারণ করেছে। ইন্সটিটিউট অফ ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সেস অনুসারে কেরালার আর-ভ্যালু ১.৩৩, যা দেশের সর্বোচ্চ সক্রিয় কেস। মিজোরামে এটি ছিল ১.৩৬, জম্মু ও কাশ্মীরে ১.২৫, অন্ধ্র প্রদেশে ১.০৯ এবং মহারাষ্ট্রে ১.০৬ ছিল আর-এর মান। এখান থেকেই ধারণা করা যায় যে, তৃতীয় ঢেউ কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে।

ভারতে বর্তমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা জেনে নিন!

দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ই আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম, তা এবার রুখতে আরও সক্রিয় হতে হবে। হাসপাতালে বেড নেই থেকে শুরু করে ভ্যাকসিনের ঘাটতি, তার সঙ্গে নিত্যদিন বেড়ে যাওয়া মৃতের সংখ্যা। অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছিল দ্বিতীয় ঢেউ। তারপর জুলাই মাস থেকে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করে ছিল জনজীবন। তবে আগে থেকেই তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তৃতীয় ঢেউয়ের শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তৈরি করা হচ্ছে পরিকাঠামো।

ইতিমধ্যেই অনেক মানুষই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়ে গেছেন। কিন্তু তাতেও আক্রমণের সম্ভাবনা পুরোপুরি কমে যায়নি। অনেক জায়গাতেই লকডাউন উঠে গিয়েছে। মানুষ স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরছেন। কিন্তু এর মাঝেই অনেক মানুষকেই দেখা যাচ্ছে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাফেরা করতে। নানান জায়গায় জমায়েতও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাসে, ট্রামে কেউই মানছেন না কোনও দূরত্ব বিধি। এতেই বেড়ে যাচ্ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিলে কী করবেন জেনে নিন?