পুষ্টিগুণে সেরা ডিম। রোজ একটা করে ডিম খেলে সেখান থেকে মেটে প্রোটিনের চাহিদা। দৈনিক চাহিদার অনেকটাই আসে ডিম থেকে। একটা ডিমের মধ্যে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এছাড়াও শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিনও কিন্তু পাওয়া যায় এই ডিম থেকেই। তবে জানেন কি ডিমেরও এক্সপায়ারি ডেট থাকে। অর্থাৎ মেয়াদ উত্তীর্ণ ডিম খেলে সেখান থেকে আপনি পড়তে পারেন একাধিক সমস্যায়। আপনি ভাবছেন ডিম কী ভাবে বাসি হতে পারে! ডিম শুধু বাসি হয় না, খারাপ হয়ে যায় নির্দিষ্ট একটা সময়সীমার পর। এরপর সে তার পুষ্টিগুণও হারাতে শুরু করে। পুষ্টিগুণ হারাতে শুরু করলেই ডিমের মধ্যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। এই ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপে ডায়েরিয়া থেকে পেটের গন্ডোগল একাধিক সমস্যা হতে পারে। কীভাবে বুঝবেন আপনার ডিমের মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে কিনা
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আর এই তথ্য অনুসারে ডিম ফোটার পর তা যদি ঘরের তাপমাত্রায় অর্থাৎ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা হয় তবেই কিন্তু ডিম ১০-১২ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে। একরপর সেই ডিম দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করে। ডিমের সতেজতাও এর সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়।
আর ডিম যদি ফ্রিজে রাখেন তাহলে টানা তিন সপ্তাহের বেশি রাখবেন না। এরপর ডিম নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ডিমের গুণগত মান নষ্ট হয় এবং সেই সঙ্গে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও শুরু হতে থাকে।
এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে পেট ব্যথা, জ্বর, ডায়েরিয়া-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে। এই মেয়াদ উত্তীর্ণ ডিম যে খাবারে ব্যবহার করা হবে সেই খাবারও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়য। আর সংক্রমণের কারণে পেটে ব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব, ঠান্ডা লাগা, মাথাব্যথা, মলের সঙ্গে রক্তপাত-সহ একাধিক উপসর্গ থাকে।
ডিম যদি একদম তাজা থাকে তাহলে ডিম সিদ্ধ করার পর তা যদি মাঝামাঝি কাটা হয় তাহলে ঠিক মাঝখানে কুসুম দেখা যায়। কিন্তু কুসুম যদি একদম আলগা থাকে বা শক্ত হয়ে যায় তাহলে ধরে নিতে হবেই যে ডিমটি নষ্ট হয়ে গেছে।
ডিম ঠিক আছে কিনা তা জানতে একগ্লাস জলের মধ্যে একটা ডিম রাখুন। ডিম ঠিক থাকলে তা গ্লাসের তলায় ঠেকে থাকবে। খারাপ হতে শুরু করে আধা জলে আর আধা উপরে থাকবে। যদি একেবারেই খারাপ ডিম হয় তাহলে জলের উপর তা ভেসে উঠবে।