PCOS: পিসিওএসের সমস্যাকে করুন জীবন থেকে দূর! মেনে চলুন মাত্র ৪টি উপায়
পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিসিওএস হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে ওভারি অস্বাভাবিক ভাবে পুরুষ হরমোন আন্ড্রোজেন উৎপাদন করে, যা মহিলাদের শরীরে খুব কম পরিমাণে থাকে।
পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিসিওএস হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে ওভারি অস্বাভাবিক ভাবে পুরুষ হরমোন আন্ড্রোজেন উৎপাদন করে, যা মহিলাদের শরীরে খুব কম পরিমাণে থাকে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম নামটি ব্যাখ্যা করে যে ওভারির মধ্যে জন্ম নিয়েছে একাধিক ছোট ছোট সিস্ট। তবে গবেষণা বলছে, পিসিওএসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে গেলে জীবনধারায় আনতে হবে বিশাল পরিবর্তন।
এই বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন ডক্টর সিদ্ধান্ত ভার্গব। তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন কীভাবে জীবনধারা পরিবর্তন করে আপনি এই পিসিওএসের সমস্যাকে জয় করতে পারবেন। তাঁর সঙ্গে তিনি তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, “কোনও কিছুই পিসিওডি নিরাময় করতে পারে না, কিন্তু জীবনধারা পরিবর্তনগুলি ১০০% নিশ্চিত করতে পারে যে এটি আপনার জীবনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।”
View this post on Instagram
আপনার খাদ্যতালিকা থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিকে বাদ দিন
আপনার যদি পিসিওএসের সমস্যা থাকে কিংবা এই সমস্যার যদি সম্মুখীন হতে না চান তাহলে কৃত্রিম চিনি যুক্ত খাবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। কম চিনি যুক্ত খাবার খাওয়ার অর্থ হল রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকা। এতে ইনসুলিনের মাত্রাও কম থাকে এবং এর ফলে পুরুষ হরমোনের বেশি মাত্রা উৎপন্ন হয় না। এর বদলে নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে যে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ফলে যেমন মিষ্টি আলু এবং শস্যদানা জাতীয় খাবারকে খাদ্য তালিকায় রাখুন। যে সব ফলে শর্করা রয়েছে সেই সব ফল ও সবজিও খেতে পারেন।
বেশি পরিমাণে প্রোটিন খান
স্বাস্থ্যকর, উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, বাদাম, দুগ্ধজাত মাংস এবং সামুদ্রিক খাবার। সারাংশ উচ্চতর প্রোটিন গ্রহণ ওজন হ্রাস বাড়াতে পারে, বিশেষত পিসিওএস যুক্ত মহিলাদের জন্য। আপনার ডায়েটে ডিম, বাদাম এবং সামুদ্রিক খাবারের মতো স্বাস্থ্যকর, উচ্চ-প্রোটিন আইটেমগুলি যোগ করার চেষ্টা করুন। আপনার বিপাকীয় হার বাড়ান এবং আপনার শরীরকে একটি ক্যালোরি-বার্নিং মেশিনে পরিণত করুন।
জাঙ্ক ফুড ও ফাস্ট ফুড খাওয়া ত্যাগ করুন
জাঙ্ক ফুডের বদলে স্বাস্থ্যকর খাবারকে বেছে নিন। এগুলি স্যাচুরেটেড বা হাইড্রোজেনেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ, তাই এই অস্বাস্থ্যকর চর্বিগুলি ইস্ট্রোজেন উৎপাদন বাড়াতে পারে, যা আপনার পিসিওএস উপসর্গগুলিকে আরও খারাপ দিকে করতে পারে।
নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন
জগিং, হাঁটা, সাইকেলিং, সুইমিং এই ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ পিসিওএসে সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তাছাড়া এই ধরনের কার্যকলাপ টাইপ ২ ডায়বেটিস এবং কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগকে প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। দিনে ৩০-৪৫ মিনিট নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন।
আরও পড়ুন: কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে তৈরি হয়ে পারে হাইপারক্যালেমিয়া! জেনে নিন এই রোগ সম্পর্কে