World Pancreatic Cancer Day 2021: প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকা কেমন হবে, জেনে নিন

অগ্ন্যাশয়ের দুটি কাজ। প্রথম পাচক রস বা এনজাইম উৎপন্ন করা এবং দ্বিতীয় হল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন উৎপাদন করা।

World Pancreatic Cancer Day 2021: প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকা কেমন হবে, জেনে নিন
বিশ্ব প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সার দিবস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 9:19 AM

প্যাংক্রিয়াসে বা অগ্নাশয়ে যখন ক্ষতিকারক কোষ বৃদ্ধি পায় তখন দেখা দেয় ক্যান্সারের মত মারণ রোগ। প্রতিবছর বিশ্ব জুড়ে নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সার দিবস পালিত হয়। এই বছর আজকের দিন অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সার দিবস ।

অগ্ন্যাশয়ের দুটি কাজ। প্রথম পাচক রস বা এনজাইম উৎপন্ন করা এবং দ্বিতীয় হল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন উৎপাদন করা। ক্যান্সার এমন একটি মারণ রোগ যা কাকে কখন গ্রাস করে তা বলা কঠিন। যেহেতু এই ক্যান্সার অগ্ন্যাশয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই স্বাভাবিক ভাবেই খেয়াল রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সারের আক্রান্ত হলে যেমন কিছু খাবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে, তেমনই বিশেষ কিছু খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন খাবারকে খাদ্যতালিকায় রাখবেন এবং কোনটিকে বাদ দেবেন।

ফল ও সবজি- ওয়ার্ল্ড‌ ক্যান্সার রিসার্চ‌ ফান্ড ইন্টারন্যাশালের মতে প্রতিদিন পাঁচটি ফল এবং সবজি খাওয়া উচিত। কাঁচা সবজির থেকে রান্না করা সবজি হজমে বেশি সাহায্য করে। বেরি, সাইট্রাস ফল, সবুজ শাকসবজি এবং কপি জাতীয় সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। তাই এই ধরনের সবজি ও ফলকে খাদ্যতালিকায় রাখুন।

লিন প্রোটিন- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ইমিউনিটি সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে এবং কোষ ও টিস্যুকে পুনরায় গঠনে সাহায্য করে। এর জন্য ডিম, বাদাম, তফু, চিকেন, মাছকে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এগুলি হজমও তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।

উচ্চ-ফাইবার যুক্ত খাবার- যে সব খাবারে ফাইবারের মধ্যে কার্ব‌োহাইড্রেট সমৃদ্ধ থাকে, সেগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে না। এর জন্য আলু, বিনস, ডাল, ওটমিল, ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। এই খাদ্যতালিকার মাধ্যমে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোলেট ও ভিটামিন বি পেয়ে যাবেন, যা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি- গ্রিন টিয়ের মধ্যে পলিফেনল রয়েছে যা এক প্রকার অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- স্বাস্থ্যের জন্য ফ্যাট প্রয়োজন। এটি শরীরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে আপনি যদি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভোগেন তাহলে খাদ্যতালিকায় কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখতে হবে, যেমন অলিভ অয়েল, বাদাম, অ্যাভোকাডো।

কোন কোন খাবারগুলি প্যাংক্রিয়াটিক ক্যান্সারের রোগীকে এড়িয়ে চলতে হবে?

যেহেতু অগ্ন্যাশয় থেকে পাচক রস উৎপাদিত হয়, সেই ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোগীদের এমন খাবার খেতে হবে যা সহজেই হজম হয়ে যায়। একই সঙ্গে যে সব খাবারগুলি হজম হতে বেশি সময় নেয় কিংবা সহজে হজম করা কঠিন সেই ধরনের খাবারকে ত্যাগ করতে হবে। সেগুলি হল-

  • রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস। এই ধরনের খাবার হজম করা কঠিন, তাই ক্যান্সার রোগীদের এগুলি খাওয়া উচিত নয়।
  • চর্বিযুক্ত খাবার এবং ফ্রায়েড ফুড। যে সব খাবারে বেশি পরিমাণে ফ্যাট থাকে এবং যেসব খাবার অত্যধিক তেলে রান্না করা হয়, সেই সব খাবার এড়ানো উচিত।
  • চিনি এবং রিফাইন কার্ব‌োহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাবেন না। যেহেতু অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উৎপাদক হরমোন তৈরি করে, সেই ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোগীদের ডায়বেটিসের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
  • সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অ্যালকোহল পান করবেন না। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারকে আরও মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে অ্যালকোহল।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যানসার শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব! জেনে রাখুন বিশদে