AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Inflammation: পেট খারাপ থেকে জ্বর বা ডায়েরিয়া, শরীরে একটি জিনিসের গোলমালে হয় সবকিছু! জানেন কী?

Inflammation: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রদাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে ধীরে ধীরে কম-মাত্রার একটি স্থায়ী ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা সময়ের সঙ্গে নিঃশব্দে টিস্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।

Inflammation: পেট খারাপ থেকে জ্বর বা ডায়েরিয়া, শরীরে একটি জিনিসের গোলমালে হয় সবকিছু! জানেন কী?
| Updated on: May 06, 2025 | 1:24 PM
Share

আমরা ফুলুতে আক্রান্ত হলে জ্বর আসে। খারাপ কিছু খেলে ডায়রিয়া হয় আবার গোড়ালি মচকে গেলে ফুলে যায়। এগুলো আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু কেন এমন হয় সেটা জানেন? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন এই সব কিছুর মূলে আছে প্রদাহ।

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে থাকে নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা। যা আমাদের যে কোনও অসুখে সেরে উঠতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রদাহ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে সেটি হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদি ক্রনিক অসুখের আকার ধারণ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রদাহ দীর্ঘস্থায়ী হলে ধীরে ধীরে কম-মাত্রার একটি স্থায়ী ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা সময়ের সঙ্গে নিঃশব্দে টিস্যু ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি করতে পারে।

কেন হয় প্রদাহ?

অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার (বিশেষ করে পরিশোধিত চিনি, ট্রান্স ফ্যাট, ও কিছু বীজ তেল), দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, বসে বসে থাকা জীবনধারা এবং পরিবেশ দূষণ—এসবই দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের সাধারণ কারণ। এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার বহু স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিপাকীয় প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ে এবং সিআরপি, আইএল-৬, ও টিএনএফ-আলফা নামক প্রদাহজনক পদার্থের নিঃসরণ বেড়ে যায়। প্রদাহের মূল কারণগুলি হল খারাপ জীবনযাত্রা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস।

প্রদাহ কমাতে কী করবেন?

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে বেশ নিয়ম মেনে চল্কা ভাল। যেমন –

১। প্রদাহ বিরোধী চর্বি জাতীয় পদার্থে রান্না করতে হবে। যেমন অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো বা ঘি।

২। ফাইবার-সমৃদ্ধ উদ্ভিজ্জ খাবার বা সবজি, বেরি জাতীয় ফল, ডাল জাতীয় খাবার খাওয়া ভাল।

৩। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, চর্বিযুক্ত মাছ (যেমন স্যামন), চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ) স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৪। প্রোবায়োটিক ও প্রিবায়োটিক খাবার খাওয়া উপকারী। যেমন দই, ফার্মেন্টেড সবজি (যেমন আচারের মতো), রসুন, পেঁয়াজ ইত্যাদি।

এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস মেনে চলা ভাল, যেমন সময়ে ঘুমোনো, শরীরচর্চা করা, ধ্যান বা মেডিটেশন করা, ঘন ঘন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি।

আবার প্রক্রিয়াজাত চিনি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট জাতীূ খাবার এড়িয়ে চলা ভাল। এতে প্রদাহ কমে।

বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। সবার আগে রেজাল্ট জানতে এখনই নথিভুক্ত করে ফেলুন এই ফর্মে-