High Cholesterol: মাত্র ২৫-এই বাড়তে পারে কোলেস্টেরল! ঝুঁকি এড়াবেন কীভাবে?
Youth Health: এত কম বয়সে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বরং এই বয়সে কেন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে সেই দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
Health Tips: অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণে একাধিক রোগ নীরব ঘাতকের মত থাবা বসাচ্ছে আমাদের জীবনে। এর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা নিয়ে কম বয়স থেকেই সচেতন থাকা জরুরি। যদিও এখন জীবনযাত্রার (Lifestyle) কারণে কম-বেশি সবাই-ই এই রোগ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আর হবে না-ই বা কেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা সামান্য বেড়ে যাওয়ার অর্থ হল হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাওয়া। তবে কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ, এই বস্তাপচা ধারণা মনে থেকে বার করে দেওয়া দরকার। কোলেস্টেরল হল রক্তে থাকা মোম জাতীয় পদার্থ। কোলেস্টেরল দু’ রকমের হয়। এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরল এবং এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকা জরুরি। কিন্তু এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তখনই ঘটে বিপত্তি।
আগে মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল যে এই রোগ বয়সের সঙ্গে জীবনে থাবা বসায়। কিন্তু বর্তমানে তা আর ঘটছে না। এখন মানুষের ২৫-এই বেড়ে যাচ্ছে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা। গবেষণা বলছে, যাঁদের ২০-এর দশকে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, ৫০-এর দশকে গিয়ে তাঁরা হৃদরোগে শিকার হন। তাঁদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মিড এজে গিয়ে। সুতরাং সময় থাকতেই সচেতন হতে হবে। কিন্তু এত কম বয়সে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বরং এই বয়সে কেন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে সেই দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
কম বয়সে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পিছনে ঠিক কোন কোন কারণগুলি দায়ী, দেখে নিন এক নজরে-
জাঙ্ক ফুড- এখন মানুষের মধ্যে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বেশি। এগরোল, চাউমিন, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বার্গার, পিজ্জাতেই মজেছে নতুন প্রজন্ম। আর এখান থেকেই বাড়ছে রোগের ঝুঁকি। রাস্তার খাবারে প্রচুর পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয় এবং সেটা কোন তেল, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না খারাপ- এই সবের কিছু ঠিক থাকে না। এখানেও ঘটে বিপত্তি। শরীরে বেড়ে যায় এলডিএল।
নিয়মিত যোগব্যায়াম না করা- নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে স্ক্রিনে। হয়তো মোবাইল নিয়ে শুয়ে রয়েছে নাহলে ল্যাপটপে বসে বসে কাজ করছে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বা শুয়ে থাকার অভ্যাস ডেকে আনছে মারণ রোগ। তাছাড়া ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অলস হয়ে পড়ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি।
ওজন বেড়ে যাওয়া- ওজন নিয়ে সচেতন হলেও ওজন কমাতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। আর কেউ কেউ তো ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে একটুও চিন্তিত নয়। এসব বদঅভ্যাস একটু একটু করে আপনার জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস- মদ্যপান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়বে। এর সঙ্গে ধূমপান আরও এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। তাই সুস্থ থাকতে গেলে এই বদঅভ্যাসগুলো জীবন থেকে বাদ দিন।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস আর ব্লাড প্রেসার একসঙ্গে থাবা বসিয়েছে? এই ৩ গাছের পাতার গুণে মিলবে রেহাই